বগুড়ার ধুনটের নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকারি সেলাই মেশিন বিতরণে হতদরিদ্র নারীদের নিকট থেকে ৫১ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি-৩) অনুকুলে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় ১৭টি সেলাই মেশিন ক্রয় করেন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। এক্ষেত্রে প্রতিটি সেলাই মেশিনের (বাটার ফ্লাই) মূল্য ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৬৪৭টাকা।
এদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সেলাই মেশিন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য অত্র ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য হামিদুল হককে সভাপতি ও ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য টপি বেগমকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বেকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং হতদরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ১৭জন নারীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। কিন্ত হতদরিদ্র নারীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের প্রতিটি সেলাই মেশিনের জন্য চেয়ারম্যান আজাহার আলী পাইকাড়, সদস্য হামিদুল হক ও টপি বেগম ৩ হাজার করে টাকা আদায় করেছে।
নিমগাছি ইউনিয়নের নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের আছমা খাতুন বলেন, টাকা ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন প্রকার সরকারি সহায়তা পাওয়া যায় না। তাই উপার্জনের অবলম্বন হিসেবে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ৩ হাজার টাকা দিয়ে ১টি সেলাই মেশিন নিয়েছি। এ বিষয়টি পত্রিকায় লিখে আমার কোন ক্ষতি করবেন না।
উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী পাইকাড়, সদস্য হামিদুল হক ও টপি বেগম বলেন, ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করে যারা পরাজিত হয়েছে তারাই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণে টাকা নেওয়ার কোন প্রমাণ নেই।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, সেলাই মেশিন বিতরণে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।