Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

শৈলকুপায় পেঁয়াজের পাতা পঁচা রোগ, চাষিরা দিশেহারা 

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:৫৯ AM
আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:৫৯ AM

bdmorning Image Preview


ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দেখা দিয়েছে পেঁয়াজের পাতা পঁচা রোগ ‘পার্পল’। বাড়ন্ত পেঁয়াজ পাতা পঁচা পার্পল রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ফলন বিপর্যয়ের আশংকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাষিরা।

দলিলপুর, শিতালী, কুশাবাড়িয়াসহ বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বাড়ন্ত পেঁয়াজেরপাতা পঁচা রোগে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে রাতে অল্প বৃষ্টির পর পরই মাঠে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে বলে কৃষকরা জানান। বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোন কাজ হচ্ছেনা বলে কৃষকরা জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, মাঠে মাঠে পেঁয়াজের পাতা পঁচা রোগ দেখা দিয়েছে। তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী উপজেলাগুলোর মধ্যে শৈলকুপা অন্যতম। এবার ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ছয় হাজার পঁচিশ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়।

দলিলপুর গ্রামের চাষী তিতাস মিয়া জানান, এবার তিনি চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। হঠাৎ পাতা পঁচা রোগে আক্রান্ত হয়ে সব পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো ফল হচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, এ রোগ নিরাময়ে এখন পর্যন্ত কোন ব্লক সুপার ভাইজারের পরামর্শ পাননি বা তাদের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। একই এলাকার চাষি হালিম মোল্লার ছেলে জুয়েল জানান, পাঁচদিন আগে তার তিন বিঘা জমির পেঁয়াজ পাতা পঁচা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি কৃষি বিভাগের কোন কর্মকর্তার পরামর্শ পাননি। কৃষক হাবিব শেখ, উকিল শেখ, শরিফুলও একই অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, কৃষকদের এ অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি বলেন চাষিরা আমাদের পরামর্শ নেন না। ফলে মাঠে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তখন চাষিরা আমাদের দোষারোপ করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, আবহাওয়ার কারণে মাঠে মাঠে পেঁয়াজের পাতা পঁচা রোগ (‘পার্পল’) দেখা দিয়েছে। তিনি গত মঙ্গলবারও দামুকদিয়া সহ বিভিন্ন মাঠ পরিদর্শন করে এ রোগ নিরাময়ে চাষিদের পরামর্শ দিয়েছেন। পৌর এলাকা ও উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের ব্লক সুপার ভাইজাররা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। দ্রুত এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে তিনি আশা করেন। 

সুপার ভাইজারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন ,বগুড়া ইউনিয়নে একজন ব্লক সুপারভাইজার কম আছে। দলিলপুর এলাকার মাঠে যিনি আছেন তার সাথে তিনি কথা বলবেন বলে জানান। 

 

Bootstrap Image Preview