পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি জগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী কাজী আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৯৮৫ ভোট।
কঠোর নিরাপত্তা ও উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ৮ বছর ৪৫ দিন পরে পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটারদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ছিল দিনভর। তবে সকালে বৃষ্টির কারণে ভোটর উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোট কেন্দ্রে বাড়তে থাকে ভোটারদের উপস্থিতি।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, পৌরসভায় মেয়র পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর নৌকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র ডা. শফিকুল ইসলাম মোবাইল, সাবেক মেয়র মোস্তাক আহাম্মেদ পিনু নারকেল গাছ, পটুয়াখালী চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মহিউদ্দীন আহাম্মেদ জগ মার্কাসহ পাঁচ জন প্রার্থী এবং ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪৫ হাজার ১৪৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২১ হাজার ৮২২ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৩২২ জন। নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী পৌরসভার ২১টি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩৪টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ করেন কর্মকর্তারা।
রির্টানিং অফিস সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের টাউন স্কুল সেন্টারে নৌকা মার্কার সমর্থকরা কেন্দ্র অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে পুলিশের সাথে তাদের ধাওয়া-পল্টা ধাওয়া শুরু হলে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবিসহ র্যাব সদস্যরা আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এ ছাড়া এখন পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনে মোট পাঁচ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন নির্বাচনে প্রায় শতকরা ৫৫ ভাগ ভোট কাষ্ট হয়েছে বলে ধারনা করছেন তারা।
প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একজন ইন্সেপেক্টার, ২ জন এসআই, ১৫ জন পুলিশ সদস্যসহ ১৪ জন আনসার সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া র্যাব, পুলিশ ও বিজিবর স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রতিটি কেন্দ্রে টহল হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।