বরগুনার তালতলীতে প্রচণ্ড টর্নেডোর আঘাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ও কড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে প্রচণ্ড টর্নেডোতে উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের মধ্য বাজার এবং মনসাতলী, সিমিতলা ও কড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেহেলা গ্রামে আঘাত হানে। এতে ওই গ্রাম ও বাজারের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ী সম্পূর্ণ এবং আরও দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধশতাধিক পানের র্বজ। ছোটবড় অসংখ্য গাছপালা উপরে পরে ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি।
স্থানীয় পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের মনসাতলী গ্রামের শাহিন, সলেমান, রাসুলসহ আরও অনেকে জানান, তারা ঘুমে ছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতের শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। ভোররাতের প্রচণ্ড ঝড়ে গাছপালা ছিড়ে উপড়ে গেছে। গাছ পড়ে অধিকাংশ ঘর ভেঙে যায়। বাতাসে আমাদের অনেকেরর বসতঘর ও অনেকের ঘরের ছাউনী সম্পূর্ণ উড়িয়ে নিয়ে গেছে। টর্নেডোর সাথে বৃষ্টিতে তাদের ঘরের চাউল থেকে শুরু করে সকল মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। সন্তান-সন্তুতি নিয়ে তারা কোন রকম গাছ, বেড়া ও চালের আফডালে বসে ভিজে-পুড়ে বেঁচে আছে।
ব্যবসায়ী রিমন সিকদার জানান, পঁচাকোড়ালিয়া বাজারের তার টিনের দোকান রয়েছে। দোকানসহ টিন উড়িয়ে নিয়ে বিভিন্ন যায়গায় ভেঙে মুচড়ে ফেলেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আলম মোল্লার ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে। ওই বাজারে বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সকালে খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবী-উল-কবির জোমাদ্দার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্থদের প্রত্যেককে নগদ ৫ হাজার করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ন দাস শুভ বলেন, ঝড়ের আঘাতে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কেউ জানাননি। তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা নেবো।