যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়ার স্যান রাফায়েল বে-এর উপরেই রয়েছে ইস্ট ব্রাদার আইল্যান্ড। রযেছে সুন্দর একটি লাইটহাউজও। আমেরিকার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য লাইটহাউজের মতো, এই বাতিঘরটিও নির্মাণ করেছিলেন পল জে পেলজ। এখানে প্রথম বার আলো জ্বালানো হয়েছিল ১৮৭৪ সালের ১ মার্চ। বেশির ভাগ বাতিঘরই এখন পর্যটকস্থল হয়ে উঠেছে। বাদ পড়েনি ‘ইস্ট ব্রাদার আইল্যান্ড লাইটহাউজ’-টিও।
ইস্ট ব্রাদার আইল্যান্ডের লাইটহাউজ কিপারের বসত বাড়িটি ১৯৮০ সাল থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পর্যটকরা যাতে এখানে এসে থাকতে পারেন, তার জন্য গঠন করা হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও।
সপ্তাহে চার দিনের জন্য পর্যটকদের খুলে দেওয়া হয় ইস্ট ব্রাদার আইল্যান্ডটি। এবং তাঁদের পরিষেবার জন্য সেখানেই থাকেন সংস্থার কর্মচারীরা।
এই দ্বীপে কেয়ারটেকারের পদে লোক নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সপ্তাহে চার দিন তাদের কাজ করতে হলেও, থাকতে হবে ওই দ্বীপেই। মূল ভূখণ্ড থেকে পর্যটকদের নিয়ে আসা, বা তাঁদের ফেরত নিয়ে যাওয়াও কেয়ারটেকারের দায়িত্ব। এ ছাড়া, অতিথিদের আপ্যায়ন তো রয়েইছে। এবং এই কাজের জন্য বেতন দেওয়া হবে ১,৩০,০০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ কোটি ৯ লাখ ১১ হাজার ৯৪০।
স্বাভাবিকভাবেই বহু দরখাস্ত পড়েছে সংস্থার কাছে। জানা গিয়েছে, কেয়ারটেকারের পদের জন্য তিনটি বিশেষ গুণ দাবি করা হয় সংস্থার তরফ থেকে—
১। আগেও এমন কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন।
২। কোস্ট গার্ড কমার্শিয়াল বোট চালানোর লাইসেন্স থাকা প্রয়োজন।
৩। সর্বোপরি, বিবাহিত না হলে কোনও ভাবেই এই পদের জন্য কেউ যেন আবেদন না করেন।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রথম দু’টিতে উত্তীর্ণ হলেও, বেশিরভাগ ক্যান্ডিডেটই বাদ পড়ে যাচ্ছেন ওই তৃতীয় পয়েন্টের জন্য। প্রসঙ্গত, কেয়ারটেকারের পদের জন্য নেওয়া হবে মাত্র দু’জন ব্যক্তিকে।