ডাকসু নির্বাচনে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল সংসদে স্বতন্ত্র ভাবে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী হয়েছেন আবদুল্লাহ আল নোমান সুমন। ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের এই শিক্ষার্থী বিতার্কিক ও বিতর্ক সংগঠক হিসেবেই ক্যাম্পাসে পরিচিত। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নিজ হলের বিতর্ক ক্লাব ও বিতর্কের সবচেয়ে পুরনো ও সর্ববৃহৎ কেন্দ্রীয় সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি তে। দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে সকল নিয়মিত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ২০০৫ সালে জংগী হামলায় বন্ধ হওয়া ভালোবাসা বিতর্ক আয়োজন করেন।
২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তে প্রথমবারের মত আয়োজন করেছেন দুই বাংলার মেলবন্ধনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বিশেষ প্রীতি বিতর্ক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি চেয়ার স্থাপনের দাবী জানান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থির সময়ে ‘সচেতন সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদের’ প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে ক্যাম্পাসে সুস্থতা ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করেন।
২৮ বছর পর হওয়া নির্বাচনকে তিনি নিজেকে প্রমানের এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিবাচক কিছু করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখেন। তাছাড়া জয়পরাজয় বড় কথা নয় আমার পরবর্তী জীবনে এটি অনেক বড় একটা অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজ করবে আমার।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস এদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেমের উপর, আমার আস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তবুদ্ধিচর্চাকারী সকল মানুষের উপর। তারুণ্যের শক্তি কাউকে মাথানত করেনা কোন পরাভব মানেনা। এই তারুণ্যের শক্তি আগামী দিনের বাংলাদেশ বিনির্মানে তাদের সততা মেধা দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ গড়বে প্রাণের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কে স্বপনের সিড়ির কাছে পৌঁছে দিবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আবার হলে নির্বাচনের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, হল গুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, হল থেকেই নেতৃত্ব শিখতে হয়। আর ভিপি না হয়ে জিএস কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি সবসময়ই জিএস ছিলাম। আমার বিগত সাংগঠনিক পরিচয় গুলো দেখুন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কোনো প্রেসারের সম্মুখীন হয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন। কিছুটা অদৃশ্য চাপ তো কাজ করে। কিন্তু গনতান্ত্রিক চর্চা ও অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচনের স্বার্থে সবাই আমাকে স্বাগত জানাবে সেই প্রত্যাশাই করছি।