চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ৪৫ মিনিটের মত থাকার পর বের হন প্রধানমন্ত্রী।
আজ রবিবার বেলা ৩টা ৩৪ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। সোয়া ৪টার দিকে তিনি বেরিয়ে যান।
রবিবার (৩ মার্চ) সকাল নিজ বাসায় বুকে ব্যথা অনুভব করার পর সাড়ে ৭ টার দিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সেখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের তৎপরতা ও দক্ষতায় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যথা প্রশমনের ওষুধ সেবন, দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তিনটি ব্লক নির্ণয় ও রিং পরানোর পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনের জন্য বিকল্প পথ তৈরি করা হলে আপাতত জীবনরক্ষা পায়। তবে তার শারীরিক অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাচ্ছে না।
ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় শুরু থেকেই জড়িত একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এ তথ্য জানান।
ওই চিকিৎসক বলেন, এ ধরনের হৃদরোগীর ক্ষেত্রে সাধারণ ওপেন হার্ট অস্ত্রোপচার করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে জীবনরক্ষার জন্য বুকে একটি রিং পরানো হয়। তবে সময়মতো হাসপাতালে না আসলে কিংবা একটু বেশি দেরি হলে খারাপ কিছু হতে পারত।
বিএসএমএমইউ হৃদরোগ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও কার্ডিয়াক সার্জন অসিত বরণ অধিকারীর কাছে ওবায়দুল কাদেরের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার শারীরিক অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। এর বেশি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রেসবিফ্রিং করে বলেন, ওবায়দুল কাদেরের হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়েছে। তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একটি ওপেন করা হয়েছে। সকালের চেয়ে এখন শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পরিস্থিতি সংকটাপন্ন, ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না।