লাইব্রেরির ভেতরে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ বিরাজ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।এদিকে লাইব্রেরিতে প্রবেশের প্রধান ফটক বন্ধ করে আজ সকাল ছয়টা থেকে জাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করছে এবং বাহিরে বের হবার সময়ে ব্যাগ চেকে করা হয়। তবে কিছু দিন যাবৎ এই নিময়টি সঠিকভাবে পালন করছে না কর্মচারীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেছে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করাটা কোন সম্যসা মনে করি না। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে লাইব্রেরি প্রশাসন আগের নিয়মে চাইলে বের হওয়ার সময় ব্যাগ চেক করতে পারে। এতে আমরা প্রশাসনকে সর্বাত্নক সাহায্য করবো।
লাইব্রেরীর ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক হানিফ আলী বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি, তবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করে সম্যসাটি সমাধান করবো। শিক্ষার্থীদেরও ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ সুলতান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে আমরা পড়াশোনা করতে আসি। ব্যাগের অযুহাতে মূলত শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরী বিমুখ করার পায়তারা হচ্ছে।
দর্শন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। লাইব্রেরিতে পড়তে এসে ভেতরে যেতে পারছি না। গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়াদির প্রতি নজর না দিয়ে ঠুনকো বিষয় নিয়ে প্রশাসনের খামখেয়ালী সিদ্ধান্ত আমাদের পরীক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের উপ-রেজিস্ট্রার বদরুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা ব্যাগ দিয়ে সিট দখল করে রাখে এবং অনেকে সময় লাইব্রেরিতে আসেও না। যার ফলে ঐ সিটে কেউ বসে না, লাইব্রেরিতে স্থান সংকুলান হয় না। সবদিক বিবেচনা করে লাইব্রেরী ব্যাগ না আনার যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল শনিবার লাইব্রেরির ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ হানিফ আলী সাক্ষরিত একটা নোটিশ দেওয়া হয়। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন 'শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর স্বার্থে ও গ্রন্থাগারের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীগণ তাদের ব্যাগ নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা রেখে গ্রন্থাগারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবেন এবং ইস্যুকৃত বই নির্দিষ্ট কাউন্টারে চেক করাবেন। এছাড়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও তাদের ব্যাগ নির্দিষ্ট কাউন্টারে চেক করানো পূর্বক প্রস্থানের করবে।'