আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
আজ সোমবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, দেবী শেঠী ওবায়দুল কাদেরকে দেখে বলেছেন আমাদের ওখানেও পলিটিশিয়ানদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেটা ফলো করি আমরা আপনাদেরও সেটা ফলো করার পরামর্শ দিবো। যেহেতু ভিজিটর কন্ট্রোল করা সম্ভব হয় না। তাই বাইরে চিকিৎসা করা ভালো।
তিনি বলেন, দেবী শেঠী আমাদের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে মূল্যালয় করেছেন এভাবে, আপনাদের কার্ডিয়াক টিম যেভাবে কাজ করেছেন সেটা এক্সসিলেন্ট। ভাবি (ওবায়দুল কাদের স্ত্রী) সামনে ছিলেন। তার সামনেই শেঠী বলেছেন ইউরোপেও এর থেকে ভালো চিকিৎসা সম্ভব না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে আসেন ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী। আজ সোমবার (৪ মার্চ) তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিএসএমইউতে আসেন দেবী শেঠি। দুপুর দেড়টায় তিনি হাসপাতালে পৌঁছান।
পরে তিনি বিএসএমএমইউয়ের ডাক্তারদের সাথে বৈঠক করেন।
দেবী শেঠীর সঙ্গে ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের প্রিভেনটিভ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ।
রবিবার (৩ মার্চ) ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর ওবায়দুল কাদেরের হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এরপর একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের (রিং) মাধ্যমে অপসারণ করার পর কাদেরের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পরে আবার অবনতির দিকে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কার্ডিওলজি বিভাগের সিসিইউতে নেওয়া হয়।
কাদেরের চিকিৎসায় কাজ করছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি মেডিকেল বোর্ড। বিএসএমএমইউ কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসানের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডে আরও রয়েছেন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী মেশকাত আহমেদ চৌধুরী, অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত ভৌমিক, অধ্যাপক ডা. একেএম আক্তারুজ্জামান, কার্ডিও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. রেজওয়ানুল হক, অধ্যাপক অসিত বরণ অধিকারী, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান, ডা. তানিয়া সাজ্জাদ, প্রিভেনটিভ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক প্রমুখ।