তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা। এর আগে সপ্তাহব্যাপী কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেয় তারা।
পূর্ব কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিনে সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহার নেতৃত্বে প্রশাসন ভবনের সামনে সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
এ সময় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি বলেন, আমাদের এ আন্দোলন চলবে। দাবি না মানলে বুধবার থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।
ক্যাম্পাসের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের সময়সীমা সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৪টার পরিবর্তে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা করণ, চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৬০ থেকে ৬২ করণ এবং উপ-রেজিস্ট্রার এবং সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল চতুর্থ গ্রেডে ৫০ হাজার এবং সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের জন্য ষষ্ঠ গ্রেডে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা করার দাবি জানায় কর্মকর্তারা।
এর আগে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, মৌন মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তারা।
এর প্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের পর্যবেক্ষক কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন পদত্যাগ করলে পরবর্তীতে ছাত্র উপদেষ্ঠা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মনকে আহ্বায়ক করা হয়।
জানা যায়, গত বছরের ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৪তম সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মঘণ্টা বৃদ্ধি করে প্রশাসন। এর আগে ক্যাম্পাসের কর্মঘণ্টা সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ছিল। সিন্ডিকেটে সকল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত করা হয়।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের চাকরির বয়সসীমা ৬২ থেকে ৬০ করে প্রশাসন। এ বয়সসীমা বৃদ্ধি করার দাবিতে আন্দোলন করেন কর্মকর্তারা।