Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফাহিমার চিকিৎসার ভার নিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০১৯, ০৯:৩৫ PM
আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯, ০৯:৩৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দুই পায়ে অজানা পচন ধরা রোগে আক্রান্ত ফাহিমার চিকিৎসার আশ্বাস দিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল।

আজ সোমবার(৪ মার্চ) সকালে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল ফোন করে খোঁজখবর নেন ফাহিমা খাতুন ও তার পরিবারের। সেই সঙ্গে তার চিকিৎসার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

এক মাস আগেও সুস্থ ছিলেন ফাহিমা খাতুন। যন্ত্রণার শুরুটা ছিল এক পায়ে ব্যথার মাধ্যমে। ওষুধ খাওয়ার পর ব্যথা না কমে বরং পচন ধরেছে সেই পায়ে। সেই পচা অংশ থেকে এখন খসে পড়ছে মাংস। এখন তার দুটি পা পচে গেছে। সেখান থেকে এখন পোকাও বের হচ্ছে।

স্ত্রী ফাহিমা খাতুনকে নিয়ে অসহায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ভ্যানচালক স্বামী ফজিজুল ইসলাম। চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার। চিকিৎসক বলেছেন, পা কেটে বাদ দিতে হবে। তবে পা ফেলার টাকাও নেই ফাহিমা খাতুনের পরিবারের।

ফাহিমা খাতুনের মেয়ে সোনিয়া আক্তার জানান, ডিসি স্যার ফোনে কথা বলে চিকিৎসার সহযোগিতার কথা বলেছেন। এবার হয়তো আমার মায়ের চিকিৎসা হবে। আজই মাকে নিয়ে হাসপাতালে যাব।

এর আগে সোনিয়া আক্তার জানিয়েছিলেন, বাবার ভ্যান চালানো উপার্জন দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে আমাদের। বাবাও অসুস্থ। এক মাস আগে মায়ের পায়ে ব্যথা শুরু হয়। তখন ডাক্তার দেখানো হয়। ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানোর পর থেকে পায়ে পচন ধরেছে। চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায়। এখন পায়ের মাংস পচে পুজ বের হচ্ছে। রোগটির নাম ডাক্তার বলতে পারছে না। তবে ডাক্তার বলেছেন, পা কেটে ফেলতে হবে। আমার বাবার টাকা নেই। পা কাটার টাকা নেই বাবার কাছে।

জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে জানান, ফাহিমাকে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা জানিয়েছি। সেখানে ভর্তির পর সিভিল সার্জনসহ চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ওষুধপত্রসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখা হবে।

তিনি আরও বলেন, চেষ্টা করবো তাকে সুস্থ করে তোলার। একজন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এটা আমাদের দায়িত্ব।

Bootstrap Image Preview