উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেকেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি বর্জন করায় নির্বাচনের মাঠে তাদের কোনো প্রার্থী নেই। ফলে বিএনপি ও জামায়াতের অনেক নেতাকর্মীদের মাঝে তেমন নির্বাচনী আমেজও নেই। তবে তাদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে এবং সমর্থন আদায়ে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।
জানা গেছে, আগামী ১০ মার্চ লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাবে বর্জন করেছেন। দেয়া হয়নি কোনো দলীয় প্রার্থী। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। তাদেরকে বিভিন্ন কৌশলে ম্যানেজ করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে চেষ্টা করছেন। জেলার সদর, আদিতমারী ও হাতীবান্ধায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রায় প্রতিদিনই বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীর সাথে আলাদা আলাদা বৈঠকে বসছেন। তাদের ভোট কেন্দ্রে আসতে চেষ্টাসহ বিভিন্ন মামলা ও হামলা থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনে করছেন, কয়েকটি নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থিত লোকজন ভোট দিতে পারেনি। ফলে তারা যদি বিএনপি-জামায়াতের ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারে তাহলে তাদের ভোট নিশ্চিত নৌকা মার্কার বিপক্ষে যাবে। সেই ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয় সহজতর হবে। আর সেই লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এ বাড়তি চেষ্টা চলছে।
এদিকে শনিবার ও রবিবার রাতে হাতীবান্ধায় বিএনপি সমর্থিক কয়েকজন সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও বেশ কয়েক জন বিএনপি’র নেতা দফায় দফায় বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনের গোপন সিন্ধান্ত হয়। তারা ইতিমধ্যে অতি গোপনে নৌকা বিরোধী প্রচারনায়ও নেমেছেন।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে এ জেলায় বিএনপি’র নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারও ভোট বর্জন করবেন। যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।