Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঝিনাইদহে হঠাৎ বৃষ্টিতে ইটভাটার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০১৯, ০১:০৪ PM
আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯, ০১:২১ PM

bdmorning Image Preview


হঠাৎ কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ইটভাটায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসময়ের এ বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে জেলার শতাধিক ইটভাটার কাঁচা ইট রাখার জায়গা। ফলে নষ্ট হয়েছে খাড়ি ও মাটিতে পাতানো লক্ষ-লক্ষ প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট। 

ঝিনাইদহ জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মাহমুদুর রহমান ফোটন জানান, ইট তৈরির ভরা মৌসুম চলছে। ইট ভাটাগুলোর লাখ লাখ কাঁচা ইট খোলা আকাশের নিচে শুকানো হচ্ছিল। বিপুল পরিমাণে শুকানো কাঁচা ইট খোলা আকাশের নিচে সাজানো অবস্থায় ছিল। টানা বৃষ্টিতে এসব ইটের বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিটি ভাটায় ইট নষ্ট হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ২৯টি, শৈলকুপায় ২০টি, হরিণাকুন্ডুতে ১১টি, কালীগঞ্জে ১৯ টি, কোটচাঁদপুরে ৫টি এবং মহেশপুরে ২৩টি ইটভাটা আছে। প্রত্যেকটি ইট ভাটায় ৪ থেকে ৫ লক্ষাধিক কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। জেলার ১০৭ টি ইট ভাটায় প্রায় ৬ কোটি টাকার কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে।

কিংশুক ইট ভাটার ম্যানেজার মনিরুজ্জামান মনি ও জামাল উদ্দিন বলেন, এই অসময়ে হঠাৎ বৃষ্টিতে কিংশুক ১ নং ও ২নং ভাটা মিলে তাদের দুটি ভাটায় প্রায় ২০ লাখ ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে।

হাটগোপালপুর এলাকার এ আর বি ব্রিকস এর মালিক স্বপন মিয়া জানান, তাদের ভাটায় প্রায় ৭ লাখ কাঁচা ইট ছিল যা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও আবার নষ্ট ইট ফেলতে লেবার খরচ করতে হবে তাদের দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। এতে করে তাদের গড়ে প্রায় ৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কালীগঞ্জের ইটভাটা মালিক আজাদ রহমান জানান, ভাটা মালিকরা এই সময় ইট কাটিয়ে থাকেন। ইট ভাটাগুলোতে পর্যাপ্ত ইট ছিল। বৃষ্টিতে তাদের ভাটায় কমপক্ষে ৪ লক্ষাধিক কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে।

কওসার আলী বলেন, তার ভাটায় খোলা আকাশের নিচে প্রায় ১০ লাখ টাকার ইট ছিল, হঠাৎ বৃষ্টির কারনে প্রায় ১১ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।

এছাড়াও ভাটা মালিকরা বলছেন, এভাবে বৃষ্টিতে ক্ষতি হলে ইটের দাম অনেক বেশি হবে। আবার বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া ইটগুলো সরাতে অনেক টাকা ব্যায় হবে। এবছর প্রায় প্রায় বৃষ্টি হবার কারনে ইট ভাটা মালিকরা হতাশ হয়ে পড়ছে।

Bootstrap Image Preview