সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কিডনিতে ‘ক্রিয়েটিনিনের’ মাত্রা বেড়েছে। তার রক্তে ‘ইনফেকশন’র উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে এলেই তার বাইপাস সার্জারি হবে।
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক এবং ডা. এসএম মোস্তফা জামান।
এই দুই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়ে আরও বলেন, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের কিডনিতে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধি এবং রক্তে ইনফেকশনের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও তার শারীরিক অবস্থা উত্তরোত্তর উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তিনি হাসপাতালটির আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে সেখানে ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিওরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী মঙ্গলবার দুপুরে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ব্রিফ করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক রিজভীর প্রেস ব্রিফিংয়ের একটি ভিডিও ক্লিপিংও মিডিয়ার কাছে পাঠানো হয়।
ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী বলেন, ‘সোমবার রাত ১১টায় ওবায়দুল কাদেরকে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফিলিপ কোহর নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- কার্ডিও থোরাসিক বিশেষজ্ঞ ডা. সিভাস্তেল কুমার স্বামী, ইনফেকশন বিশেষজ্ঞ ডা. অশোক কুমার, কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা. হো সি কো এবং আইসিইউ বিশেষজ্ঞ শোং কি মিন।