Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

এক মেয়ের সঙ্গে দুই বন্ধুর প্রেমে বন্ধুর হাতে বলি বন্ধু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৭:৫৩ PM
আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯, ০৭:৫৩ PM

bdmorning Image Preview


কোমল পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ট্যাবলেট খাইয়ে নোয়াখালীর মেহেরাজকে (১৯) শ্বাসরোধে হত্যা করে তারই তিন বন্ধু।

বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দিয়েছে আটক আবদুল্লাহ আল মামুন। এতে সহযোগিতা করে তানভীর ও রাশেদ নামে তার দুই বন্ধু।

এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) রাতে নোয়াখালীর সুধারাম এলাকা থেকে মামুনকে আটক করা হয়। এ সময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যার সময় ব্যবহার হওয়া মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, প্রেম নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মেহেরাজকে (১৯) হত্যা করা হয়েছে। কোমল পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ট্যাবলেট খাইয়ে তিন বন্ধু মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে। পরে বস্তায় ভরে মরদেহটি মোটরসাইকেলে করে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুরে এনে খালে ফেলে দেয়া হয়।

নিহত মেহেরাজ নোয়াখালীর সুধারাম থানার উত্তর হুবলি গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, মেহেরাজ, তানভীর ও মামুন নোয়াখালীর সুধারাম এলাকার বাসিন্দা। তারা তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম নিয়ে তানভীর ও মেহেরাজের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতের তানভীর তাকে (মেহেরাজ) হত্যার পরিকল্পনা করে। এ কথা সে তার (তানভীর) বন্ধু মামুন ও রাশেদকে জানায়। তানভীর ও মামুন সুধারাম থানার উদয় সাধুর হাটের সততা বস্ত্রালয়ের কর্মচারী। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মোটরসাইকেলযোগে মেহেরাজকে নিয়ে মুন্সি তালক গ্রামের দিকে যায়। সন্ধ্যা হলে মেহেরাজকে তারা কোমল পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে অচেতন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পরনের বেল্ট খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের টক্কার পুল থেকে খালে ফেলে দেয় তারা। ২৮ ফেব্রুয়ারি বস্তাবন্দি মরদেহটি পানিতে ভেসে উঠলে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে।

লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রেমের দ্বন্দ্বের কারণে তিন বন্ধু মিলে পরিকল্পিতভাবে মেহেরাজকে হত্যা করে। হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামি মামুন লক্ষ্মীপুর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Bootstrap Image Preview