প্রভাব খাটানোর অভিযোগে লালমনিরহাটের আদিতমারী, নেত্রকোনার পূর্বধলা ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেইসঙ্গে পাটগ্রামের ওসিকে প্রত্যাহার ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের এপিএসের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার (১০ মার্চ) প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইসির যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, ‘ আদিতমারী, পূর্বধলা ও জামালগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে ইসি।’ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে উপজেলার ভোটে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে। যার কারণে কয়েকজন এমপিকে সতর্ক করে আগেই এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছিল ইসি।
যেসব সংসদ সদস্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- সুনামগঞ্জ-২ আসনের জয়া সেন গুপ্ত, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এম এ মতিন, হবিগঞ্জ-৩ আসনের মো. আবু জাহির, কুড়িগ্রাম-১ আসনের আছলাম হোসেন সওদাগর, সুনামগঞ্জ-১ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, লালমনিরহাট-১ আসনের মোতাহার হোসেন, রাজশাহী-১ আসনের ওমর ফারুক চৌধুরী, নাটোর-৪ আসনের আব্দুল কুদ্দুস ও নেত্রকোনা-৫ আসনের ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল।
এদিকে এমপিদের প্রভাব খাটানোর বিষয়টি অবহিত করে আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের অনুরোধ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সিইসি চিঠি দিয়েছেন। সর্বশেষ আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগের পর অনন্যোপায় হয়ে এ তিন উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে।