বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে আশরাফুলকে নিয়ে ভক্তদের অনেক আশা ছিল। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রথমবারের মতো চিটাগং ভাই কিংসের জার্সি গায়ে জড়িয়ে নেমেছিলেন আন্তর্জাতিক লেভেলেন ক্রিকেটে। কিন্তু আসরের প্রথম দুই ম্যাচে দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় বাদ পড়েন দল থেকে। এরপর সুযোগ আসে গ্রুপ পর্বের নিজেদের শেষ ম্যাচে।
কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন। মাত্র ২ বল ফেস করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ০ রানেই আউট হন। তিন ম্যাচে তার রানে ছিল যথাক্রমে ৩, ২২ ও ০। রানের এমন পরিসংখ্যান আশরাফুল নামটার সঙ্গে একে বারেই যায় না।
সকলের প্রত্যাশা ছিল আশরাফুল বিপিএলের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠবেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। চলতি আসরে মোহামেডান তাকে দলে ভেড়ায়। সিসিডিএম কর্তৃক আয়োজিত ঢাকা প্রিমিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগে গ্রিুপ পর্ব থেকে তার দল বিদায় নিয়েছিল। গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচেই একাদশে ছিলেন আশরাফুল।
যার প্রথমটিতে ২১ রান করে রানে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন আশরাফুল। কিন্তু সেটা আর হলো কই পরের ম্যাচেই গোল্ডেন ডাক। অথাৎ প্রথম বলেই আউট। এরপর ও আশরাফুলের উপর বিশ্বাম রেখেছিল তার দল মেহামডোন।
শনিবার পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের দেওয়া মাত্র ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন আশরাফুল। কিন্তু এদিন আবারো উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডের ডাক মারেন।
সব মিলিয়ে নিজের সবশেষ চারটি স্বীকৃত ম্যাচের মধ্যে তিনবারই শূন্য রানে আউট হয়েছেন আশরাফুল, যার মধ্যে দুইটিই আবার গোল্ডেন ডাক। আবার তিনটি শূন্য রানের ইনিংসেই কট বিহাইন্ড তথা উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন আশরাফুল।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আসর শুক্রবার থেকে মাঠে গড়িয়েছে। তাই এখনো অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতে পারেন আশরাফুল। তাই নিজের ফিরে পাওয়ার লড়াইটা এখনো শেষ হয়ে যায়নি তার জন্য।
উল্লেখ্য, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে ১৩ ম্যাচ খেলে ৫টিতেই সেঞ্চুরি করেছিলেন আশরাফুল। তার ব্যাট থেকে এসেছিল টুর্নামেন্টের পঞ্চম সর্বোচ্চ ৬৬৫ রান। ব্যাটিং গড় ছিল ৬৬.৫০।