Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

'শিক্ষার্থীদের জন্য স্বতন্ত্র বাস সার্ভিস চালু করতে হবে'

সুলতান মাহমুদ আরিফ, তিতুমীর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০৪:১০ PM
আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০৪:১০ PM

bdmorning Image Preview


নিরাপদ নৌপথ ও জনবান্ধব গণপরিবহনের দাবি জানিয়েছে মানববন্ধন করেছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন নামের একটি সংগঠন।

বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি করে সংগঠনটি।

সদরঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে একই পরিবারের ৭ জনের প্রাণহানীর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন। একই সঙ্গে সড়ক ও নৌপথ নিরাপদ করা এবং জনবান্ধব গণপরিবহন নিশ্চিতের দাবি করেছে সংগঠনটি।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব যাত্রীবন্ধু মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, সদরঘাটে ইজারা ব্যবসার স্বার্থে নৌকাগুলোকে বিশৃঙ্খলভাবে চলতে দেয়া হয়। যার কারণে এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। অবৈধভাবে নৌ পারাপার করা হলেও নিয়মিত ভাড়া বেড়েছে। এ ভাড়ার বড় একটি অংশে ভাগ বসাচ্ছে কতিপয় শ্রমিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তা। যার ফলে সদরঘাটের শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হচ্ছে না। সদরঘাটে দুর্ঘটনার দায় বিআইডব্লিউটিএ এড়াতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক পরিবহনে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ১টাকা ৭পয়সা নির্ধারণ করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় নৈরাজ্য ঠেকানোর জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমি মনে করি, এ সমস্ত আন্দোলনের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা জরুরি। তারা এগিয়ে আসলেই কেবল এ নৈরাজ্য ঠেকানো সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল বলেন, প্রতিবছর নৌপথে অসংখ্য যাত্রীর মৃত্যু হলেও এঘটনা খুব একটা আলোচনায় আসে না। ফলে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে নৌপথ। বিশেষ করে সদরঘাটে নিয়মিত দুর্ঘটনায় প্রাণহানী ঘটলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার কারণে আবারো ঝরলো ৭টি প্রাণ। নৌকাডুবিতে প্রাণহানীর দায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করে সারাদেশের নৌপথ নিরাপদ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেন তিনি।

গণপরিবহনের শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে কেফায়েত শাকিল বলেন, শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়ক ও জনবান্ধব গণপরিবহনের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। কিন্তু আন্দোলনের পর ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বাস্তবায়ন চোখে পড়েনি। আজও মানুষকে গণপরিবহনে নিয়মিত নিপীড়নের শিকার হতে হয়। সিটিং সার্ভিসের চিটিংবাজীতে নগরবাসী এখন আরো অতীষ্ঠ। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতের স্বার্থে এবং হাফ ভাড়ার সমস্যা সমাধানে নগরজুড়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের জন্য স্বতন্ত্র বাস সার্ভিস চালুর দাবি তুলেন কেফায়েত শাকিল।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন যাত্রী অধিকার আন্দোলনের গবেষণা সেলের প্রধান নাজমুস সাকিব, সদস্য রাকিব হাওলাদার, এস এম সজীব, বিল্লাল হোসেন সাগর, সোহেল তাজ, মনি, জুবায়ের, আজাদ, মনির প্রমুখ।

Bootstrap Image Preview