অর্থনীতির বেহাল অবস্থা মোদি সরকারের পিছু ছাড়ছে না। লোকসভা ভোটের আগে দেশটির আর্থিক খাতের দুই পরিসংখ্যানে সে চিত্র উঠে এসেছে।
জানুয়ারিতে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশে। আর ফেব্রুয়ারিতে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি থামল চার মাসের সর্বোচ্চ অঙ্কে ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। বেহাল পরিকাঠামো ও প্রবৃদ্ধির পর যা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বেশি করে অভিযোগ ছুড়ছেন বিরোধীরা। চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে পাঁচ ত্রৈমাসিকে সবচেয়ে কম, ৬ দশমিক ৬ শতাংশে। পরিকাঠামোর অবস্থা আরও খারাপ। জানুয়ারিতে তা পৌঁছেছে ১ দশমিক ৮ শতাংশে। ১৯ মাসে সবচেয়ে কম। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। গত মাসে প্রবৃদ্ধি ঘোষণার সময় কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলেছে উৎপাদন শিল্প নিয়ে আশঙ্কার কথা। তা সত্যি প্রমাণ করেই মঙ্গলবার সরকারি পরিসংখ্যান জানাল, জানুয়ারিতে এই শিল্পে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ধাক্কা লেগেছে মূলধনী পণ্য ও ভোগ্যপণ্যে। যেগুলো কলকারখানায় কর্মকাণ্ড ও বাজারে চাহিদার ছবি তুলে ধরে।
অনেকের মতে, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় খুচরো মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু শিল্প চাঙ্গা করতে বিভিন্ন মহলের দাবি মেনে ৪ এপ্রিলের ঋণনীতিতে ফের সুদ কমাতে পারে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
বিশেষজ্ঞদের অনেকেই তাই বলছেন, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার বা যুদ্ধের আবহ তৈরির হাত ধরে মোদি সরকার ভোটে সুবিধা পাবে কিনা, তা সময়ই বলবে। তবে এটা নিশ্চিত যে, অর্থনীতির ভালো রিপোর্ট কার্ড নিয়ে প্রচারে যাওয়া সম্ভব হল না তাদের।