সিলেটের ১২ উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে। ৫ম উপজেলা পরিষদ দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে উত্তাপ তেমন লক্ষ্যনীয় না হলেও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে মাঠে প্রশাসনকে চার স্তরের নিরাপত্তায় ঢেলে সাজানো হয়েছে।
সোমবার সিলেটের ১২ উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে সিলেট মহানগর পুলিশের ২টি ও জেলা পুলিশের অধীনে ১০টি উপজেলায় র্যাব-বিজিবি ছাড়াও পুলিশ ও আনসারের প্রায় ১৪ সহস্র ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
কেন্দ্রগুলোকে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) দুই ভাগে বিভক্ত করে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাঠ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে প্রতি উপজেলায় একজন করে বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটানিং কর্মকর্তা সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সন্দ্বীপ সিংহ।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহবুবুল আলম বলেন, জেলার পুলিশের অধীনে ১০ টি উপজেলায় চার স্তরের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন ২ হাজার ২০০ পুলিশ ও ৭ হাজার ৭৫৪ জন আনসার, ৪২৭ জন বিজিবি ও র্যাবের ১৩০ সদস্য।
তিনি বলেন, ১০ উপজেলার ৬৪৭ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫২টি গুরুত্বপূর্ণ, ১৯৬টি সাধারণ কেন্দ্র নির্ধারণ করে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৩ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ২ জন করে পুলিশের পাশাপাশি একডজন করে আনসার সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে। এরমধ্যে প্রতি ইউনিয়নে একটা করে মোবাইল পার্টি, প্রতি থানায় একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একটি করে ট্রাইকিং পার্টি ছাড়াও জেলা সদরে পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে ২টি করে চারটি স্ট্রাইকিং ও মোবাইল পার্টি থাকবে।
এবার জেলার ১২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (নারী-পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ১৭৩ প্রার্থী। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৬, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৭৬ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪১ প্রার্থী ভোটের মাঠ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এগুলোর ৭টিতে আওয়ামী লীগ ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ১৬ জন। পাঁচটিতে রয়েছেন নৌকার একক প্রার্থী ছাড়াও জাতীয় পার্টির চারজন, বিএনপি ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী ছয়জন এবং ইসলামী ঐক্যজোটসহ (ওআইজে) অন্য স্বতন্ত্র ১৯ জন প্রার্থী।
এসব উপজেলায় মোট ভোটার ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৭১০ জন। এরমধ্যে ১০ লাখ আট হাজার ৯০ জন পুরুষ এবং আট লাখ ৮৫ হাজার ৭১০ জন নারী ভোটার। তাদের আমানত ভোটেই নির্বাচিত হবেন ১২ জন করে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান।
উপজেলায়গুলোতে ৮১৬টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৪১৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন ১৪ হাজার ৫৮ জন কর্মকর্তা। এর মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার ৮১৬, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার চার হাজার ৪১৪ জন এবং আট হাজার ৮২৮ জন পুলিং অফিসার। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট চলবে।