চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চিত্রা হরিণের পরিবারে এসেছে নতুন দুই অতিথি। এ মাসে জন্ম নেওয়া শাবক দু'টি চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীদের বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে। দেখতে সবচেয়ে সুন্দরবনের চিত্রা হরিণ সৌন্দর্যের মায়া বহন করে। নতুন দুই অতিথিসহ বর্তমানে এখানে চিত্রা হরিণের সংখ্যা ১৩।
লালচে-বাদামি লোমের ওপর ফোটা ফোটা সাদা দাগের প্রাণীগুলো বিনোদন প্রেমীদের বেশ প্রিয়। এছাড়া চারটি করে মায়া হরিণ ও সাম্বা হরিণ আছে এই চিড়িয়াখানায়।
পহেলা মার্চ একটি এবং ৭ মার্চ আরেকটিসহ দু'টি চিত্রা হরিণ জন্ম নেয় বলে জানান, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাৎ হোসেন শুভ।
তিনি বলেন, প্রথম বাচ্চাটি সুস্থ থাকলেও দ্বিতীয়টি খুব দুর্বল ছিল, মা হরিণ বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে পারছিল না। পরে সেটিকে খাঁচা থেকে বের করে এনে চিকিৎসা দেই এবং ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াই। দুই ঘণ্টা পর পর টানা দুদিন দুধ খাওয়ানোর পর শাবকটিকে সুস্থ হয়েছে। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বনাঞ্চলে একসময় চিত্রা হরিণ দেখা গেলেও বর্তমানে শুধু সুন্দরবনে এরা টিকে আছে।
পাহাড়বেষ্টিত পরিবেশে চট্টগ্রামের ফয়েজ লেকে আশির দশকে পাঁচ একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয় এই চিড়িয়াখানা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন পরিচালিত চিড়িয়াখানায় রয়েছে বাঘ, ভালুক, সিংহ, হরিণ, কুমির, জেব্রা, অজগর, কুমিরসহ ৬৬ প্রজাতির ছয় শতাধিক পশুপাখি। আছে আট মাস বয়সী বিরল প্রজাতির সাদা বাঘ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিড়িয়াখানায় সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন চলছে। সীমানা প্রাচীর ধরে পাহাড়ি উঁচু-নিচু এলাকায় লাগানো হচ্ছে ফলদ গাছ। শিশুদের জন্য কিডস জোনে আরও রাইড সংযুক্ত করার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে কিউরেটর শাহাদাৎ শুভ বলেন, এক বছর পর এই গাছগুলো ফুলে-ফলে পরিবেশ শোভিত করবে।
তিনি আরও বলেন, ফয়েজ লেকের পাহাড়ে অনেক পাখির আবাস। এখানে পাখির প্রিয় ফল এবং গাছ লাগানো হচ্ছে, যেন ওরা আবাস গড়তে পারে।