Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ বুধবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর ‘স্বর্ণ ভাণ্ডার’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০১৯, ০৩:৪৩ PM
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯, ০৩:৪৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বিশ্বের সবচেয়ে চর্চিত ধাতু হলো ‘স্বর্ণ’। হলুদ এই ধাতুর উৎপাদন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। তাহলে কি যেকোনো সময়েই এর পরিমাণ কমতে শুরু করবে?

বিশ্বে বর্তমান বছরে স্বর্ণ উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার টন। যেহেতু নতুন বড় খনির সন্ধান আর মিলছে না, তাই বলা হচ্ছে, এটাই সর্বোচ্চ উৎপাদন। স্বর্ণের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এমন কথা আগেও উঠেছিল। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার হয়তো সত্যিই ‘রাখাল বালকের বাঘ এসেছে’।

এবারের আশঙ্কার কারণ আছে। সাধারণত ৫০ লাখ আউন্স স্বর্ণ মজুদ থাকলে সেসব খনিকে বিশ্বমানের ও লাভজনক খনি বলা হয়। কিন্তু এখন যেসব খনি মিলছে তাতে আড়াই লাখ আউন্স স্বর্ণের বেশি মজুদ দেখা যাচ্ছে না। খবর ডয়চে ভেলের।

কানাডাভিত্তিক খনি উৎপাদন বিশ্লেষক কোম্পানি মাইসন প্লেসমেন্ট জানিয়েছে, উৎপাদন কোম্পানিগুলো ভাবছে খনিতে বিনিয়োগের চাইতে স্টক মার্কেট থেকে স্বর্ণ কেনা লাভজনক। তাই অনেকেই তাই করছে।

এখন অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের স্বর্ণ উৎপাদনে ৪০ ভাগ খরচের যোগান দেয়৷ বিশ্লেষকরা বলেন, এরই মধ্যে সহজে পাওয়া যায় এমন ফল খাওয়া শেষ। এখন খনি কোম্পানিগুলোকে ইকুয়েডর বা দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।

এখন বিশ্বের বাজারে ১ লাখ ৯০ হাজার টন স্বর্ণ আছে। আর বছরে উৎপাদিত হয় ৩ হাজার টন। তাই উৎপাদন কমে গেলে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। বিশ্লেষকদের তথ্য মতে, ভবিষ্যতে স্বর্ণ আসলে রিসাইক্লিং থেকে আসবে, খনি থেকে নয়।

Bootstrap Image Preview