রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে নিজস্ব বই নিয়ে প্রবেশের দাবি জানিয়েছে রাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তারা।
এসময় তারা সপ্তাহে ৭ দিন গ্রন্থাগার খোলা রাখা, গ্রন্থাগার সংস্কার করে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রতিবছর নতুন বই সংযোজন, যুগোপযোগী ও মানসম্মতভাবে গ্রন্থাগারকে ডিজিটালাইজড করা, সম্পূর্ণ গ্রন্থাগার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা, গ্রন্থাগারের অভ্যন্তরে দ্রুতগতির ইন্টানেট সার্ভিস এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার শুধুমাত্র বিষয় ভিত্তিক পড়াশোনার জায়গা হতে পারে না। গ্রন্থাগারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হিসেবে কল্পনা করা হয়। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা সব ধরনের শিক্ষাগ্রহণ করবে। হতে পারে সেটা একাডেমিক কিংবা চাকরির। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারকে একমুখী শিক্ষার উপযোগী করে রাখা হয়েছে। বর্তমান চাকরির বাজারে যে অবস্থা এখানে বিষয় ভিত্তিক পড়ালেখা খুব সহযোগিতা করে না। ফলে শিক্ষার্থীরা এখান থেকে পড়ালেখা শেষ করে চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছে।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ডিসকাশন রুমে যে আসন সংখ্যা রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ডিসকাশন রুমে মাত্র ১০৮টি আসন রয়েছে। তাই রুমটিতে জায়গা ধরার জন্য শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। রুমটিতে জায়গা দখলের জন্য শিক্ষার্থীদের রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান খান নাহিদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবিউল রবি, কলা অনুষদের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ, উপধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয়, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে।