রাজধানীর বনানীর ২২তলা বিশিষ্ট এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।এর মধ্যে এক জন বিদেশি, তিনি শ্রীলঙ্কার নাগরিক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক।
এ দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ওই টাওয়ারে অবস্থিত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তানজির সিদ্দিক আবীরকে খুঁজে পাচ্ছে না তার পরিবার। আবীর ওই ভবনে মিকা সিকিউরিটিস লি. কোম্পানিতে কর্মরত। তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রামের আবু বকর সিদ্দিক বাচ্ছুর ছেলে।
আগুন লাগার পরই তার মোবাইল ফোনে স্বজনরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু আবীরের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তার চাচা শিমুল রহমান।
তার চাচার সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার পর তার সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তখন আবীর তিনি ভালো আছে বলে জানায়। এরপর থেকে আর আবীরকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফোন বন্ধ।
এ দিকে ভয়াবহ এই আগুনে এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক জন বিদেশি, তিনি শ্রীলঙ্কার নাগরিক।এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে টাওয়ারের ৯তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শকসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালে তিন জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দু'জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন এবং ঘটনাস্থলে ১১ জন মারা গেছে। পরে মৃতর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দিলীপ কুমার ঘোষ। প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
দিলীপ কুমার ঘোষ জানান, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে উদ্ধারকাজ চলছে। ভবনে কেউ জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় আটকা পড়ে আছে কি না- তা অনুসন্ধানে উদ্ধার টিম কাজ করছে।
নিহত ৭ ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থাপিত বনানী থানার কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, আমেনা মারা গেছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে, নিরস চন্দ্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং মামুন, মাকসুদুর ও মনির ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন আবদুল্লাহ আল ফারুক।