রাজধানীর বনানীর ২২তলা বিশিষ্ট এফআর টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক জন বিদেশি, তিনি শ্রীলঙ্কার নাগরিক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে টাওয়ারের ৯তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া শকসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালে তিন জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দু'জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন এবং ঘটনাস্থলে ১১ জন মারা গেছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দিলীপ কুমার ঘোষ। প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সর্দার জানান, আগুনে দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর মারা যাওয়া এক ব্যক্তির নাম আব্দুল্লাহ আল ফারুক (তমাল)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভনিং এমবিএ করছিলেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি স্নাতকে ভর্তি হন ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে।
বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, আব্দুল্লাহ আল ফারুকের শরীর ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
তমাল ঢাবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি শ্রীলঙ্কান প্রতিষ্ঠান ইইউআর সার্ভিস বিডি লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন। শ্রীলঙ্কার এই প্রতিষ্ঠানটির অফিস বনানীর কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউয়ের এফআর টাওয়ারের ১১ তলায়। ফারুক প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।
এদিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দেবাশিষ বর্ধন জানান, ভবনে প্রচুর দাহ্য পদার্থ রয়েছে, ফলে কাজ করতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে পুরো নিয়ন্ত্রণে আসতে আরো ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করছি। আমাদের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। ফায়ার সার্ভসের ডিজি, মেয়র উপস্থিত আছেন। হাইরাইজ ভবনে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য আমাদের সকল ইক্যুপমেন্ট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি