Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

দ্বিতীয় দিনে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪০ AM
আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯, ১০:৩৬ AM

bdmorning Image Preview
ছবি: বিডিমর্নিং


রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে দাউদাউ করা ভয়ঙ্কর আগুনে পুড়েছে বহুতল ভবন এফআর টাওয়ার। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে লাগা টানা ছয় ঘণ্টার দানবরূপী আগুনে শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

শ্বাসরুদ্ধকর প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ৩১টি ইউনিট। অভিযানে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী ও পুলিশ। 

আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে আবারও বনানীর এফআর টাওয়ারে উদ্ধার ও সার্চ অপারেশন শুরু করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে। 

এর আগে, বৃহস্পতিবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা শতাধিক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন সেনা, নৌ, বিমান এবং ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।

সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেওয়া হয় ৪ জনকে, এরমধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ২ জনকে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেওয়া হয় ৪২ জনকে, এরমধ্যে এক শ্রীলংকার নাগরিককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এছাড়া ইউনাইটেড হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেওয়া হয় ৫ জনকে, এরমধ্যে মৃত ঘোষণা করা হয় ৩ জনকে। ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী মোট নিহতের সংখ্যা ১৯ জন। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭০ জন।

সন্ধ্যায় প্রেস ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দিলীপ কুমার ঘোষ জানান, এ ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুজন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন এবং ঘটনাস্থলে ১৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭০ জন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা গেছেন আমেনা এবং বনানী ক্লিনিকে মারা গেছেন পারভেজ সাজ্জাদ নামে আরও দুজন। এই হিসাবে মোট মৃতের সংখা দাঁড়ায় ২১ জনে।

এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আব্দুল্লাহ আল ফারুকের শরীরের শতকরা ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। এছাড়া আবু হোসেন ও রেজাউল আহমেদ নামে দুইজনকে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত নিহত ৭ ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থাপিত বনানী থানার কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, আমেনা মারা গেছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে, নিরস চন্দ্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং মামুন, মাকসুদুর ও মনির ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন আবদুল্লাহ আল ফারুক।

Bootstrap Image Preview