মানুষের লোভের আগুনে পুড়ে আর যেন নিরীহ প্রাণের মৃত্যু না ঘটে, দেশের ভবন মালিকদের জন্য এমন সতর্ক বার্তা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মালিকের লোভের আগুনে পুড়ে হতাহত হয়েছেন নিরীহ মানুষ। এর পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল (ডব্লিউসিসি)-বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভবনটি ‘নির্মাণ বিধি (বিল্ডিং কোড)’ অনুসরণ করে নির্মিত নয়। অনুমোদনবিহীন বেশিতলা নির্মিত এ ভবনে বিধি অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও ছিলো না।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের জন্য গভীর শোক ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। একইসঙ্গে এই দুর্ঘটনার কারণ ও পুনরাবৃত্তি রোধের দিকে দৃষ্টিপাত করেন তিনি।
এ ছাড়াও ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিজ দেশ, সংস্থা ও আত্মউন্নয়নের জন্য যোগাযোগের বিকল্প নেই। তৈরি পোশাক শিল্পে জিএসপি সুবিধা বাতিলের পরও বাংলাদেশ বিশ্বপ্রতিযোগিতায় এ শিল্পে তার প্রবৃদ্ধি অটুট রেখেছে, চীন আজ আমাদের প্রতিযোগী। এর মূল কারণ দুইটি- একটি আমাদের উৎপাদন দক্ষতা, অপরটি আমাদের বায়িং হাউজগুলোর যোগাযোগ দক্ষতা। অর্থাৎ শুধু উৎপাদন দক্ষতা থাকলেই হবে না, প্রয়োজন যোগাযোগে দক্ষতাও।
তিনি আরো বলেন, দেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়নে যোগাযোগকর্মীসহ সবার ভূমিকা রয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই দেশকে সমৃদ্ধতর করে। বিশ্বব্যাপী উন্নয়নখাতে বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা আগে থেকে এখন অনেক সক্রিয়। কূটনৈতিক তৎপরতাও এখন অর্থনীতিমুখী।