বনানীর এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তাসভিরের বারিধারার বাসা থেকে তাকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সাজাহান সাজু।
তাসভির উল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। পাশাপাশি তিনি কাশেম ড্রাইসেলস কোম্পানি লিমিডেট নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাজাহান সাজু বলেন, তাসভিরকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর তাকে বনানী থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে।
তিনি রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই একটি ভবনের ওপর ফ্লোর নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভবনটির ১৮ তলা থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার এটি অন্যতম কারণ।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ২০০১-২০০৬ সালের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি ওই ১৮ তলা ভবনটিকে ২৩ তলায় উন্নীত করেন।
সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভবনটির ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। পরে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ভবনটিকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে নির্মাণ করা হয়।
ডেভেলপার কোম্পানি ভবনটির ২০ ও ২১তম তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুইটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম। এরপর তিনি নকশা পরিবর্তন করে ছাদের ওপর আরো দুইটি ফ্লোর নির্মাণ করেন।