চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগেরসাবেক ছাত্র এমদাদুল হককে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের।
চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এমদাদুল হক ২০১৫ সালে স্নাতক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক লাভ করেন।
শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) ঠেকাতে এমদাদুল হককে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় মামলা না নেওয়ায় গতকাল রবিবার চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলা করেন এমদাদুল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে থেকে এমদাদুলকে তুলে নিয়ে যান ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। দিনভর আটকে রেখে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে ‘শিবিরকর্মী’ আখ্যা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। পুলিশ এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় এমদাদুলকে ছেড়ে দেয়।
এমদাদুলের আইনজীবী মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আদালত এ মামলার তদন্ত করতে পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের আনোয়ার হোসেন, একই বিভাগের আসিফ মাহমুদ শুভ, মোকসেদ আলী ওরফে মীলু প্রামাণিক, একই বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের জাহিদুল হাসান, রফিকুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আসির উদ্দিন ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শরিফ উদ্দিন। এ ছাড়া এই মামলায় আসামি হিসেবে আরও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।