সাতক্ষীরায় আহছানিয়া মিশন চক্ষু ও জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ফাতেমা তুজ জোহরা চামেলি (২৮) নামের প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের লিয়াকত হোসেনের মেয়ে ও শ্যামনগর উপজেলার কুপোট গ্রামের ফজলুর রহমান আকাশের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা ডাক্তার আকছেদুর রহমানের বিচার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে জোহরার প্রসব বেদনা উঠলে তাকে কালিগঞ্জের আহছানিয়া মিশন চক্ষু ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার আকছেদুর রহমান তাকে সিজার করাতে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। অপারেশন থিয়েটারের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করে জোহরা চামেলি।
জোহরা চামেলির চাচা আব্দুুল মান্নান জানান, রবিবার বিকাল ৩টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় জোহরা চামেলিকে। চার ঘণ্টা পর রাত ৭টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে দ্রুত বের করে অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হচ্ছিল। এ সময় ডাক্তারেরা জানান তার অবস্থা ভালো নয়, এখনই তাকে খুলনায় নিয়ে যেতে হবে।
পরে পরিবারের সদস্যদের চাপের মুখে তাকে দেখতে দিলে চামেলির মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। সাথে সাথে এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের লোকজন পালিয়ে যেতে থাকে এবং স্থানীয়দের ভয়ে ডাক্তার আকছেদুর রহমান নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে আত্মগোপন করেন। এ সময় চামেলির পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা চড়াও হয়ে হত্যার বিচারের দাবি করেন।
আব্দুল মান্নান আরো জানান, খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ দেখেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ সময় স্থানীয় সাবেক মেম্বর আনিসুজ্জামান খোকন আহছানিয়া মিশনের সদস্য হওয়ায় প্রভাব সৃষ্টি করে আমাদের তাড়িয়ে দিলে রাত ১১টার দিকে চামেলির লাশ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার দুপুরে চামেলির দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে ডাক্তার আকছেদুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার সাথে কোনভাবে যোগাযোগ করতে সম্ভব হয়নি।
কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, এখনো পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।