ভবন নিরাপত্তা ও অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে নগরবাসীর জন্য অভিযোগ বক্স ও ফোন নম্বর চালু করা হবে। এছাড়াও থাকবে হোয়াটস অ্যাপ নম্বর। এসব মাধ্যমে যারা অভিযোগ জানাবেন তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ‘অগ্নিঝুঁকিতে রাজধানী: সিটি করপোরেশনের ভূমিকা ও নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা)।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, শুধু ভবন নয়, হাসপাতাল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সব ধরনের অবকাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা, ইলেকট্রিক নিরাপত্তা ও ভবন নিরাপত্তা না থাকলে কেউ যাবেন না। অফিস নিরাপদ না হলে সেখানে কাজ করবেন না। আর এসব ইস্যু আমাদের জানান।
তিনি আরো বলেন, আমাদের যারা ভবনের সমস্যা জানাবেন তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। তাদের ওপর যেন আবার কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা। প্রতিটি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে অভিযোগ বক্স খোলা হবে। একটি ফোন নম্বর চালু করব আমরা। সাথে হোয়াটস অ্যাপ সংযোগ থাকবে। আমরা একটি নগর অ্যাপ চালু করার জন্য কাজ করছি। এসব মাধ্যমে যারা অভিযোগ জানাবেন তাদের পরিচয় গোপন থাকবে। আর এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা কাজ করে সবাইকে সাথে নিয়ে সবার ঢাকা গড়ে তুলব।
ঢাকা শহরের ভবনগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই সঙ্গিন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এটি একটি অত্যন্ত নাজুক সময়। আমরা যে দৃশ্য দেখলাম সেই দৃশ্য আর দেখতে চাই না। আমরা ভয়াবহ জায়গার মধ্যে আছি। এই সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। দায়িত্ব নিয়েই কাজ করতে হবে।
এ ছাড়াও অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা মোকাবেলায় আগে থেকেই প্রস্তুতি রাখতে হবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ভবনগুলোতে ফায়ার ড্রিল করতে হবে। প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশন ট্রেনিং দেবে। ভবনের সিকিউরিটি গার্ডদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, ফায়ার পোশাক পরাতে হবে। আমরা সবাই মিলে বাঁচতে চাই।