Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ বুধবার, মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

'বিশ্ববিদ্যালয়ে অছাত্রসুলভ আচরণ চলবে না'

আকতার হোসেন, যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১৫ PM
আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১৫ PM

bdmorning Image Preview


যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি থাকবে। কিন্তু সে রাজনীতি হতে হবে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী এবং চিন্তা চেতনায় মানুষের রাজনীতি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি এবং অছাত্রসুলভ আচরণ একসঙ্গে চলবে না।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে ইংরেজি বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন। এরপরেই ফুল দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়। 

অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজনীতি হতে হবে এদেশের মাটির জন্য। এদেশের জনগণের জন্য, এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য।

তিনি বলেন, আমি রাজনীতির মাধ্যমে তৈরি হয়েছি। কিন্তু আমি অরাজনীতি কখনো করিনি। আমি নিজেও স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু আমি যখন ক্লাসে যাই, বাইরে রাজনীতি রেখে শিক্ষক হিসাবে ক্লাসে যাই। আমি যখন ভাইস-চ্যান্সেলর তখন আমি রাজনীতি বাইরে রেখে শিক্ষক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট দিয়ে প্রবেশ করি। আমার বিশ্বাস, এখানে যারা আমার শিক্ষক আছেন একইভাবে তারা তাদের আচরণ ক্লাসের মধ্যে রাখবেন।

আমি একইভাবে বিশ্বাস করি, আমার শিক্ষার্থী যারা রাজনীতি বিশ্বাস করে তারাও স্বাধীনভাবে থাকবে ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে রাজনীতি রেখে ক্লাসে ঢুকবে। কেউ কারো উপর খবরদারি বা জোর করবে না এটাই আমার বিশ্বাস।

র‍্যাগিং এবং মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, কেউ র‍্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাঁর সর্বনিম্ন শাস্তি হলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'বহিষ্কার'। কেউ মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে তারও সর্বনিম্ন শাস্তি হলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'বহিষ্কার'। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের একটি সুস্থ ও নির্মল শিক্ষার পরিবেশ সুনিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল্লাহ মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ মিজানুর রহমান, যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো: নাজমুল হাসান, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আব্দুল হালিম, ইংরেজি বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী অপরাজিতা শর্মা, ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহানা মারিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ মসিয়ূর রহমানের হলের প্রভোস্ট ড. মো: আমজাদ হোসেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো: মীর মোশাররফ হোসেন, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: মনিবুর রহমান, তন্ময় মজুমদার, প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ইংরেজি বিভাগের পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা প্রথম স্থান অর্জন করেছে তাঁদেরকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়।

এরপর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, দেশিয় সঙ্গীতের মনোরোম উপস্থাপনা উপভোগ করেন দর্শক-শ্রোতা। তবে ইংরেজি সাহিত্যের কালজয়ী বিভিন্ন চরিত্রে পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিনয় দর্শকদের বিশেষ প্রশংসা কুড়ায়। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান এবং এম এস এইচ সায়েফ। 

Bootstrap Image Preview