Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

হারিয়ে যেতে বসেছে গরীবের এসি ঘর

ইলিয়াস হোসেন, পাটকেলঘাটা ( সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১১:০৫ AM
আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১১:০৫ AM

bdmorning Image Preview


আধুনিকতায় ছোঁয়া আর কালের আবর্তে পাটকেলঘাটায় বেশকিছু গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামের মানুষের এসি ঘর হিসেবে খ্যাত এ মাটির তৈরি ঘর।

অতীতে মাটির ঘর গরিবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলা হত। কিন্তু এখন আর সেটা বলা যাচ্ছে না। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচুর গরম ও খুবই শীতে আদর্শ বসবাস-উপযোগী মাটির তৈরি এসব ঘর। আগের মতো এখন আর তেমন একটা নজরে পড়ে না এই মাটির ঘর-বাড়ি।

জানা যায়, এঁটেল বা আঠালো মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হত। ১০-১৫ ফুট উঁচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড়-কুটা, টালী, অথবা ঢেউটিনের ছাউনি দেয়া হত। আর এই মাটির ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হয় এলাকা ভেদে, পাটকেলঘাটায় এমনটি নেই। সব ঘর বড় মাপের হয় না।

গৃহিণীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আলপনা একে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বলে ইট-সিমেন্টের ঘর নির্মাণে এখন উৎসাহী হচ্ছে মানুষ। এক সময় পাটকেলঘাটা থানার বিভিন্ন গ্রামের ও অনেক পরিবার মাটির ঘরে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও প্রবল বর্ষণে মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বেশি।

ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির ঘর শত বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু কালের আবর্তে দালান-কোঠা আর অট্টালিকার কাছে হার মানছে মাটির ঘর। 
 

Bootstrap Image Preview