ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার বিচারের জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) এ ঘোষণা দেন তিনি।
একই সাথে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীদের যে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে নুর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছি, এর মধ্যে আমরা দেখতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়। অন্যথায় আমরা নতুন কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।
সোমবার রাতে ঢাবির এসএম হলের উর্দু বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে মারধর করে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় গতকাল বিকেলের দিকে অভিযোগপত্র দিতে এসএম হলে যান ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, শামসুন্নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি, ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, অরণি সেমন্তি খানসহ কয়েকজন।
তারা ভেতরে গেলে সেখানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয় ও অবরুদ্ধ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হলটির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ছাত্রলীগের অন্য নেতাদের আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার ও তাদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন সেমন্তি, ইমি ও বেনজির। ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের গায়ে ডিম ছুড়ে মারে বলেও দাবি করেন তারা।
এসবের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ভিপি নুরসহ প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা।
রাত পৌনে ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করার অনুরোধ জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। কিন্তু শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের আশ্বাসে ভরসা রাখেননি। তারা ভিসিকে ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানান।
পরে আজ সকালে ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন নুর। এ বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে।
কর্মসূচি স্থগিত করেছি। কারণ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়েরে সর্বোচ্চ ব্যক্তি। আমরা চাই তিনি আমাদের বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে কী ব্যবস্থা নেন তা দেখতে। শিক্ষার্থীকে মারধর ও ভিপি নুরুল হক নুরসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার এসএম হল প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।