ধলেশ্বরী নদী থেকে নিখোঁজ নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই সেলিম মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায় সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে তিনি নিখোঁজ হন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বন্দর থানা এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে তার লাশ ভাসতে দেখা যায়। তিনি গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর এলাকার ইয়ার আলী শেখের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার শম্ভপুরা ইউনিয়নের চরহোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে ট্রলারযোগে ফিরছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার বোরহান উদ্দীন, নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই সেলিম মিয়া ও নারী আনসার সদস্য রীতাসহ ১৭ যাত্রী।
পথে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় তাদের বহনকারী ট্রলারটি। এতে প্রিসাইডিং অফিসার বোরহান উদ্দীন, নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই সেলিম মিয়া ও নারী আনসার সদস্য রীতা নিখোঁজ হন।
ট্রলারডুবির দুদিন পর মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে চরকিশোরগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীর মোহনা থেকে প্রিসাইডিং অফিসার বোরহান উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। এর আগে সোমবার সকালে নারী আনসার সদস্য রীতা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত বোরহান উদ্দীন চরকিশোরগঞ্জ এলাকার চরহোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি উপজেলার মেঘনাঘাট শাখার ইউসিবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক। তার বাড়ি নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে। তিনি সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকার হাবিবপুর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্ত্রী ও ২ ছেলে রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, মেঘনা নদীতে নিখোঁজের তিন দিন পর ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই সেলিম মিয়ার লাশ বন্দর এলাকায় ধরেশ্বরী নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে নিখোঁজ তিনজনের লাশই উদ্ধার হলো।