ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে হামলার ঘটনার বিচার চেয়ে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর।
জানা যায়, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে যান। সোয়া ১ ঘণ্টা আলোচনা শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন।
বৈঠক শেষে ভিসির কার্যালয়সংলগ্ন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ডাকসু ভিপি নুরসহ উপস্থিত শিক্ষার্থীদের নাস্তা করানো হয়েছে। নাস্তার মেন্যুতে ছিল- পরোটা, ডিম, ভাজি ও কলা।
ভিসি অফিসে কর্মরত এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আলোচনায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসি অফিস থেকে সকালের নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নাস্তার মেনুতে ছিল- দুটি পরোটা, একটি ডিম মামলেট, একটি ভাজি ও একটি কলা।’
উপস্থিত সব শিক্ষার্থীই এ নাস্তা খেয়েছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে সোমবার রাতে ঢাবির এসএম হলের উর্দু বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে মারধর করে ছাত্রলীগ।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অভিযোগপত্র দিতে এসএম হলে যান ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, শামসুন্নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি, ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, অরণি সেমন্তি খানসহ কয়েকজন। তারা ভেতরে গেলে সেখানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন এবং অবরুদ্ধ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। হলটির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ছাত্রলীগের অন্য নেতাদের আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার ও তাদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন সেমন্তি, ইমি ও বেনজির। ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের গায়ে ডিম ছুড়ে মারে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এসবের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ভিপি নুরসহ প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা। রাত পৌনে ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করার অনুরোধ জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। কিন্তু শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের আশ্বাসে ভরসা রাখেননি। তারা ভিসিকে ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানান। পরে আজ সকালে ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন নুর।