Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ শনিবার, মে ২০২৫ | ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইসরায়েলের পছন্দের অস্ত্র ‘পর্নোগ্রাফি’ 

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৫৯ AM
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৫৯ AM

bdmorning Image Preview


সম্প্রতি মার্কিন সিনেট ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের জন্য এন্টি-বিডিএস ( বা বয়কট বর্জন ও অবরোধবিরোধী) বিল ও বিলিয়ন বিলিয়ন ‘সাহায্যের’ কথা ভাবছে, আসুন কিছু বিস্মৃত ইতিহাস স্মরণ করি। আপনি কি জানেন ইসরায়েল পর্নোগ্রাফিকে অস্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে? ২০০২ সালে একথা বেশ কিছু সংখ্যক আউটলেটে প্রতিবেদন করা হয়েছিল।

রিযন ডট কমের আর্কাইভের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যখন অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরের শহর রামাল্লার অধিবাসীরা সপ্তাহান্তে তাদের টেলিভিশনগুলো অন করল, তখন তারা যা দেখল তা না ছিলো কোনো খবর আর না ফালাস্তিন কর্তৃপক্ষের নিয়মিত কোনো অনুষ্ঠান, তারা দেখল পর্নোগ্রাফিক টুকরো চলচ্চিত্র (Movie clip).

রামাল্লার চারটি টিভি স্টেশনের তিনটি, ইয়াসির আরাফয়াতের সদর দফতর ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা দখল হয়ে গিয়েছিলো। শহরের টেলিভিশন কেন্দ্রটি সেই মুহুর্তে স্ক্রিনের নিম্নাংশে একটি লাইন দেখাচ্ছিল যা জানান দিচ্ছিল যে পর্ন-চিত্রাংশগুলো দখলদার সৈন্যদের কীর্তি। ওতে লেখা ছিল, আমরা মা-বাবাদেরকে পূর্বসতর্কতার আহবান জানাই।

ইসরাইলই পরিবার ও শিশুদের সামনে পর্নোগ্রাফি উন্মুক্ত করে। মানে, আমরা কী আশা করি? তারাই সরাসরি শিশুদেরকে হত্যার জন্য দায়ী, সুতরাং তাদের (শিশুদের) সামনে গ্রাফিক যৌনচিত্র উন্মুক্ত করে দেয়া ইহুদিবাদী নৈতিকতার আশাতীত উন্নতি।

ফিলিস্তিনি খবর ও অন্যান্য অনুষ্ঠানকে এসব জিনিসপাতির সাথে বদল জনসাধারণের ওপর চাপ ও হীনমণ্যতা বাড়ায়। স্বরণ করুন, রামাল্লার অধিবাসীরা তাদের ঘর ত্যাগ করতে পারছিল না, এমনকি দ্রব্যাদি সদাইয়ের জন্যও। তাদের প্রচণ্ড প্রয়োজন ছিল তথ্যের।

সমস্ত টিভি কেন্দ্রেগুলোকে বন্ধ করে দেবার বিকল্প ইসরায়েলি সেনাদের হাতে ছিল। তা সত্ত্বেও, তারা সেগুলোকে সচল রাখল, কিন্তু সম্প্রচার করল ‘পরিবর্তিত’ চিত্রাবলী। পর্নোগ্রাফি খুব সম্ভবত সম্প্রচার একেবারে বন্ধ করে দেবার চেয়ে এমনকি অধিক হতাশাজনক ছিল।

এটা তাদের অসুস্থ যুক্তি। তারা একটা মুসলিম নগরকে দখল করে, অধিবাসীদেরকে তাদের ঘরে আটকে রাখে,আর তারপর নিশ্চিত করে যে টেলিভিশনগুলো শুধু অশ্লীলতা সম্প্রচার করছে।

পর্নোগ্রাফির ক্ষতিকর মনোবৈজ্ঞানিক প্রভাবগুলো মেডিক্যাল পেশাজীবীদের কাছে প্রসিদ্ধ, আর ইসলামিভাবে, আমরা এর আধ্যাত্মিক ক্ষতিগুলোও বুঝি। যেকোনো নিকৃষ্ট কামনা (শাহওয়া) চরিতার্থ করার মতন, পর্নোগ্রাফিভোগ একজন ব্যক্তিকে বিকৃত ও কলুষিত করে। এটা নেশায় পরিণত হয়, আর যখন কেউ কোনোকিছুতে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে,তাকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

এভাবেই ঘৃণ্য কামনার প্রচার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এটা এমন এক অস্ত্র যা শয়তান আমাদের সৃষ্টির শুরু থেকে ব্যবহার করেছে। আর এটা এমন এক হাতিয়ার যা শয়তানের দালালরা আজও জোরসোরে ব্যবহার করছে।

ইহুদিদেরকে মনে হতে পারে যে তারাই এ ধরণের অস্ত্র একটা বাস্তবিক যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে,কিন্তু কালচারের সাধারণ অশ্লীলীকরণ সময়ের প্রলম্বিত পর্যায়ব্যাপী একই ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। যিনা ও সমকামী যৌন আচরণের প্রচারও বিকৃতকরণ কৌশলের অন্তর্ভুক্ত। আস্তে আস্তে মানুষ এতে জড়িয়ে যাবে অথবা একে স্বাভাবিক মনে করবে।

এটা কি একটা কোইন্সিডেন্স যে পূর্ব ও পশ্চিমে LGBT-র সবচেয়ে বড় প্রচারকরা বড় বড় ইহুদিবাদীও আর বিশ্বে পর্নোগ্রাফির সবচেয়ে বড় প্রযোজকদের অনেকেই ইহুদিবাদী? এটা BDS গুরুত্বপূর্ণ হবার অনেকগুলো কারণের একটি।ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটিকে এর মানতাবিরোধী যুদ্ধের জন্য অর্থনৈতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করার অধিকার বিশ্বের সমাজগুলোর অবশ্যই আছে।

Bootstrap Image Preview