এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ব্রুনেইতে ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক আইন কার্যকর করা হয়েছে। আইনগুলোর একটিতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও সমকামিতার জন্য পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান রয়েছে।
গতকাল বুধবার শবে মেরাজ উপলক্ষে ওই সব আইন কার্যকর হয়।
বোর্নিও দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত ব্রুনেইয়ের এক পাশে মালয়েশিয়া ও অপর প্রান্তে দক্ষিণ চীন সাগর। প্রাকৃতিক সম্পদশালী এই দেশটির বেশির ভাগ মানুষই মুসলমান। দেশটির সব ক্ষমতার অধিকারী সুলতান হাসান-আল বলকিয়াহ। কয়েক বছর ধরেই দেশটিতে ইসলামি শরিয়াহ আইন প্রণয়নের কথাবার্তা হচ্ছিল।
গতকাল ওই সব আইন কার্যকরের ঘোষণা দেন ব্রুনেইয়ের সরকারি কর্মকর্তারা।
নতুন আইনের দণ্ডবিধিতে চুরির অপরাধে অঙ্গচ্ছেদের (হাত-পা কেটে নেওয়া) বিধান রয়েছে। ধর্ষণ ও ডাকাতির সাজা মৃত্যুদণ্ড। আইনগুলোর আরেকটিতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি বা অবমাননার জন্য সর্বোচ্চ সাজার বিধান রাখা হয়েছে। এটা মুসলমান বা অমুসলমান উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য হবে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে এই রকম শরিয়াহ আইন বলবৎ থাকলেও পূর্ব অথবা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্রুনেইতেই প্রথম।
পাঁচ দশক ধরে সিংহাসনে থাকা সুলতান হাসান-আল বলকিয়াহ এই শরিয়াহ আইনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
গতকাল পবিত্র শবে মিরাজ উপলক্ষে রাজধানীর বন্দর সেরি বেগওয়ান থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে তিনি দেশটিতে ইসলামিক অনুশাসন শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।