নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ফুনকুল এলাকায় অবস্থিত একটি ইটভাটার বন্দিশালা থেকে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে উদ্ধার পেয়েছেন নারী ও শিশুসহ ৬২ জন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে সহযোগিতা চেয়ে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে বন্দরের ফুনকুল এলাকায় অবস্থিত এবিএফ ব্রিক ফিল্ডের বন্দিশালা থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। তারা সবাই এবিএফ ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিক।
বন্দর উপজেলার কামতাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হুসাইন জানান, বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউনিয়নের ফুনকুল গ্রামের মৃত শফর আলীর ছেলে আলী আহম্মেদ আলীম, বারপাড়া গ্রামের মৃত হাজী চাঁন মিয়ার ছেলে মিজান ও দাশেরগাঁও গ্রামের মৃত আফিজউদ্দিনের ছেলে সাহাবুদ্দিন এবিএফ ব্রিক ফিল্ডে ইট তৈরির কাজ করেন। এ ব্রিক ফিল্ডে ইট প্রস্তুত করার জন্য চুক্তিপত্র করেন শেরপুর জেলার সদর থানার জিন্নত আলীর ছেলে কুতুবউদ্দিন। প্রতিবছরের মতো এবছরও ইট তৈরি শুরু করেন কুতুবউদ্দিন ও তার শ্রমিক দল।
জানা যায় গত ৩ মার্চ থেকে বৃষ্টির কারণে ইট তৈরি বন্ধ থাকে। এরপর ১ এপ্রিল রাতে ইটভাটার মালিক আলিম ও মিজানের কাছে ইট তৈরির বকেয়া মজুরি ৫০ হাজার ৫ শত টাকা চাওয়া হয়। এসময় মালিক আলীম ও মিজান উল্টো তাদের কাছে ৪ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেন। এরপর বকেয়া টাকা থেকে শ্রমিকদের খাবারের জন্য টাকা চায় কুতুবউদ্দিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারধর ও নির্যাতন চালিয়ে ইটভাটার একটি ঘরে আটকে রাখেন মিজান ও আলীম। অনাহারে দুইদিন অবরুদ্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার ৯৯৯ এ ফোন করে সহযোগীতা চান শ্রমিকরা। পরে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ ইটভাটার একটি ঘর থেকে ১৪ জন নারী ও ৯ জন শিশুসহ ৬২ জনকে উদ্ধর করে।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মালিক মিজান ও আলীম পালিয়ে যায়। পরে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইয়া নবীর মাধ্যমে বকেয়া ৫০ হাজার ৫’শ টাকা আদায় করে শ্রমিকদের নিজ গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানান এসআই আনোয়ার হুসাইন।
এ বিষয় জানতে বন্দর ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ দেওয়ানের কাছে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।