ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুতে জনবল নিয়োগ চেয়ে আবেদন করেছেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন। অথচ এই আবেদনের বিষয় জানেনই না নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।
শনিবার ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ বরাবর করার ওই আবেদনের একটি কপি নিজের ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়ে এই অভিযোগ করেন কোটা আন্দোলনকারীদের এই নেতা।
নিয়োগের ওই আবেদনে ভিপি নুরের স্বাক্ষর নেই। তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনের স্বাক্ষর রয়েছে।
ভিপি নুর লিখেছেন, ‘ডাকসুতে বিভিন্ন পদে ৪ জন লোক কর্মরত রয়েছে। আমার জিএস, এজিএস সাহেব আরও ৯ জনের চাহিদাপত্র দিয়েছে। অথচ জানলাম না আমি!
অবশ্য এইসব বিষয়ে বাম হাত/ডান হাত থাকে তো, চুপেচাপে করাই ভালো! কারণ অনিয়ম হলে বাধাটা এই ভিপিই দিবে। সুতরাং হামলা-টামলা, নাটক-ফাটক, ফন্দি-ফিকির করে ভিপিকে সরানো জরুরি হয়ে পড়বে!’
এ ব্যাপারে এজিএস সাদ্দাম হোসেন ভিপি নুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই বিষয়ে ভিপি অবগত আছেন। এর আগে ডাকসুর কর্মকর্তা স্বাক্ষর করার জন্য চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠিতে আমরা স্বাক্ষর করেছি এবং আরেকটি পৃষ্ঠায় ডাকসু ভিপির স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু তিনি পুরো বিষয়টি না দিয়ে শুধু একটি অংশ সংযোজন করেছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নুরুল হক নুর জানান, তার স্বাক্ষর ছাড়াই এ ধরণের চিঠি, ইন্টারনেটসহ আনুষঙ্গিক বিষয় চেয়ে প্রশাসন বরাবর একাধিক চিঠি দিয়েছে তারা। কিন্তু আমি নির্বাচিত ভিপি হলেও এ বিষয়ে কিছু জানি না।