কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের বীচ ছাতার নিচে বসলেই পর্যটকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এনিয়ে প্রায়শ:ই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছে পর্যটক এবং ভাড়া আদায়কারীরা। প্রভাবশালী এসব বীচ ছাতার মালিকদের হাতে হতে হচ্ছে পর্যটকদের লাঞ্চিত।
পর্যটন সংশ্লিস্ট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এসব ঘটনায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটার দীর্ঘ দিনের অর্জিত সুনামকে করছে প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের অভিমত, বীচ ছাতা ও বেঞ্চ মালিকদের দ্রুত নিয়ন্ত্রণসহ নীতিমালার আওতায় আনা না হলে এর প্রভাব পড়বে কুয়াকাটা পর্যটন শিল্পের উপর।
সমুদ্র সৈকতের বীচ ছাতার ভাড়া আদায়কারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সমুদ্র জলরাশিসহ প্রকৃতি উপভোগ এবং শ্রান্তি বিনোদনের জন্য কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম ও পূর্ব পাশে প্রায় ১০০টি বীচ ছাতাসহ বেঞ্চ পেতে রাখা হয়েছে। এসব বীচ ছাতা ও বেঞ্চের মালিক রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। পশ্চিম পাশের ১৫টি বেঞ্চের মালিক কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বেলাল খলিফা, ১১টির মালিক তার ভাই আকাশ খলিফা, ৪০টির মালিক জাহঙ্গীর, সেলিম, মাসুদ, ফজলু খাঁ।
ছয় মাস পূর্বেও এসব বীচ ছাতা ও বেঞ্চ প্রতি ঘন্টায় পর্যটকদের কাছ থেকে নেয়া হত কুড়ি টাকা। বর্তমানে খলিফা ট্যুরিজমসহ বিভিন্ন ট্যুরিজমের নামে রিসিভ কেটে আদায় করা হচ্ছে চল্লিশ টাকা।
ঢাকা থেকে স্বপরিবারে বেড়াতে আসা পর্যটক জহির জানান, সমুদ্র স্নানের সময় বেঞ্চে জামা কাপড় রেখে যাওয়ায় ঘন্টায় প্রতি চল্লিশ টাকা ভাড়া দাবি করা হয়। অতিরিক্ত ভাড়া প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলে পরিবারের সামনেই লাঞ্চিত হতে হয়েছে ভাড়া আদায়কারীর হাতে।
খুলনা থেকে ঘুরতে আসা আবদুর রহমান জানান, এখানে বেঞ্চের ভাড়া অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে এসব দেখভাল করার কেউ নেই।
ছাতা ও বেঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বেলাল খলিফা বলেন, ছাতা ও বেঞ্চ অধুনিক করা করা হয়েছে। তাই কুড়ি টাকার পরিবর্তে চল্লিশ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
কুয়কাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, বিষয়টি দুঃখ জনক। যদিও এটি পৌরসভার আওতাভুক্ত নয় তবুও বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. তানভীল রহমান বলেন, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।