উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নীচতলায় প্রধান ফটক আটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
এর আগে সার্কিট হাউসে শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, শিক্ষক, সুশীল সমাজ ও শিক্ষার্থীদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ক্লাসে ফিরে যেতে রাজি হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
তখন রবইবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম চালু এবং শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে হল খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান।
পরে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিফাত বলেন, তারা বিভাগীয় কমিশনারের আমন্ত্রণে বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে রবিবার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু এবং নতুন উপাচার্য দেয়া হবে। তারা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও তখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নিতে পারেননি।
তাই সবার সিদ্ধান্ত হলো, উপাচার্য ইমামুল হকের পদত্যাগ বা অবসরে যাওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এদিকে আন্দোলনকারী রবিবার শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি লিখিত আকারে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজন নিজেদের না জানানোর কারণে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।