এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দুই ছাত্রীর যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার ও বিচারসহ পাঁচ দফা দাবিতে তারা এ আন্দোলন শুরু করেছেন।
রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুরু হওয়া ৪ঘন্টাব্যাপী আন্দোলনে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি যৌন হয়রানির শিকার ওই দুই ছাত্রী নিজ অভিভাবকদেরকে সঙ্গে নিয়েও বিভাগীয় শিক্ষকদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ইঞ্জি. মো. আক্কাছ আলী রেজাল্টের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানি করেন বলে জানিয়েছেন ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ওই দুই ছাত্রী।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানিকারী শিক্ষক আক্কাস আলীকে চাকরিচ্যুতসহ পাচঁ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অনতিবিলম্বে আক্কাস আলীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করাসহ ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা যাতে কোনরকম হয়রানির শিকার না হয় সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কোনো শিক্ষার্থীকে কোনো শিক্ষক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার হুমকি দিতে পারবেনা এবং এধরণের হুমকি দিলে শাস্তির ব্যবস্থা করা, কোন শিক্ষক কার্যদিবস ছাড়া ডাকতে পারবেনা এবং ডিপার্টমেন্টাল অফিস ছাড়া কোথাও ডাকতে পারবেনা, এবং অনতিবিলম্বে ডিপার্টমেন্টভিত্তিক ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ‘সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনোরূপ ব্যবস্থা নেয় নি। এজন্য তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। কোনো যৌন হয়রানিকারীকে তারা শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে নারাজ।’
তারা জানান, একজন শিক্ষার্থী বাস সংকট আবাসন সংকট নিয়ে কথা বললেও বহিষ্কার হতে হয়। যেখানে শিক্ষার্থীরা সামান্য ফেসবুক পোস্টের জন্য বহিষ্কার হয়। সেখানে একজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী যৌন হয়রানির জন্য চাকরিচ্যুত কেন করা হবে না?
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন বিভাগের ডিন মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া জানান, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে এবং অতি দ্রুত আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’