Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ রবিবার, মে ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

২২ বছর পর সেন্টমার্টিনে হঠাৎ বিজিবি মোতায়েন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৩১ PM
আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ২২ বছর পর আবারও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালের পর হঠাৎ সেন্টমার্টিন দ্বীপ এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হলো।

রবিবার (৭ এপ্রিল) থেকে ভারী অস্ত্রসহ দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে পুনরায় বিজিবি সদস্যরা টহল দেয়া শুরু করেছেন। বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক ৭ এপ্রিল-২০১৯ থেকে দেশের সর্ব দক্ষিণ সীমান্ত সেন্টমার্টিনে ভারী অস্ত্রসহ পুনরায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।'

এতো দিন পর বিজিবি সদস্য মোতায়েনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মুহম্মদ মোহসিন রেজা জানান, সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থেই সরকারি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অন্য কোনো কারণ বা অস্থিতিশীলতা কিংবা হুমকির প্রেক্ষিতে নয়। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ওই এলাকায় বিজিবি মোতায়েন ছিল। সরকার ফের চাইছে সেখানে অন্যান্য বাহিনীর মেতো বিজিবিও নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাক। সরকারি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে সেন্টমার্টিন এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। মিয়ানমার বেশ কয়েকবার তাদের মানচিত্রে সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে। পরে অবশ্য বাংলাদেশর তীব্র প্রতিবাদের মুখে সেই দাবি থেকে তারা সরে আসতে বাধ্য হয়।

এর প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে মিয়ানমারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না, যুদ্ধ করতে চাই না। সবার সঙ্গে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। তবে কেউ যদি আমাদের আক্রমণ করে তাহলে তার যেন যথাযথ জবাব আমরা দিতে পারি, সেই প্রস্তুতি থাকতে হবে।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, যেহেতু মিয়ানমার আমাদের একেবারেই প্রতিবেশী, তাদের সঙ্গে কখনও সংঘাতে যাব না। বরং আলোচনার মাধ্যমে তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) যেন তারা ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই প্রচেষ্টাই আমাদের অব্যাহত থাকতে হবে এবং সেভাবে সবাই দায়িত্ব পালন করবেন।

Bootstrap Image Preview