ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল খেলোয়াড়দের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে তাদের সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হ্যান্ডবল টিমের সেমি-ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
সে অনুযায়ী ইবি টিম দুপুর ৩টার মধ্যেই মাঠে উপস্থিত হয়। তারা মাঠে অনুশীলন করতে থাকে। এ সময় জাবির ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীরা এসে কয়েকজন খেলোয়াড়কে মাঠের একপাশে ডেকে নিয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে না খেলার জন্য হুমকি দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন বেশ কয়েকজন খেলোয়ার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগের প্রধান ড. মো: সোহেল।
খেলোয়াড়দের ভাষ্যমতে, 'দুপুর ৩টায় মাঠে উপস্থিত হয়ে অনুশীলন শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে আমাদের খেলতে নিষেধ করে চলে যায়। তবে আমরা অনুশীলন চালিয়ে যাই। এর মিনিট পাঁচেক পরে ২০-২৫ জন এসে অধিনায়ক আশিক খান এবং বিকেএসপির খেলোয়ার ইমনের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারা বলে এখানে তোরা খেলতে পারবি না।'
তারা আরও জানায়, 'আর যদিও মাঠে নামিস তবে না খেলে দাড়িয়ে থাকবি। তখন আমাদের দায়িত্বে থাকা শাহ আলম কচি স্যারের সাথে কথা বলি। তিনি ঘটনাস্থলে এসে সংশ্লিষ্টদের জানালে খেলা স্থগিত করে। পরে আমরা জাবি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ওরাই আমাদের ধাওয়া করে। তবে কেউ আহত হয়নি। আমাদের যারা হেনস্থা করেছে তাদের সবাই ছাত্রলীগকর্মী ও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে শনাক্ত করতে পেরেছি।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগের প্রধান ড. মো: সোহেল বলেন, ঘটনা শুনে আমি ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করেছি। আজকের খেলা স্থগিত করা হয়েছে ইতোমধ্যে। আর ভেন্যুও পরিবর্তনের বিষয়ে কথা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপকহারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই বেশ কয়েকটি আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ইভেন্ট শেষ করেছি। অথচ আমাদের খেলোয়াররা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছে। আর আজকের ঘটনাটি একেবারেই অনভিপ্রেত। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করব এবং এর প্রতিকার চাইব।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ সম ফিরোজ উল হাসান বলেন, তারা খেলা না করেই মাঠ ছেড়ে চলে গেছে। তবুও আমরা উদারতা দেখিয়ে বলেছি তারা যখন আমাদের সাথে খেলতে চায় তখনই আমরা খেলব। আমাদের কাছে কোন প্রকার অভিযোগ আসেনি। আর এখন যে অভিযোগ করা হচ্ছে সে বিষয়ে কোন প্রমাণ নাই।