চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্যসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন।
রবিবার (৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের দেয়া তালা খুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
এই সংঘর্ষে আহতরা হলেন- পুলিশের কনস্টেবল ফরিদ, ছাত্রলীগ কর্মী আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের সাদি মুর্শেদ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের মোখলেছ, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের একই সেশনের রমজান। এছাড়া আরও একজন ছাত্রলীগ কর্মী ও দুইজন পথচারীও আহত হন। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত সাতজন চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।’
এদিকে অবরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘অবরোধ ও সংঘর্ষের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেন ও শিক্ষকদের বাস আসেনি। শিক্ষার্থী না আসায় পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এছাড়া বিভাগ ও ইনস্টিটিউটেও ক্লাস হয়নি।’
এর আগে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন ও মামলা প্রত্যাহারসহ ৪ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ। তারা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন চুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয় গ্রুপের কর্মী।
সকালে ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় এবং শাটল ট্রেনের লোকোমাস্টারকে তুলে নিয়ে যায়। অবরোধের কারণে সকাল থেকে কোনো শাটল ট্রেন চলাচল করতে পারেনি। ফলে দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করে তারা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘ষোলশহরে স্টেশন থেকে অবরোধকারীরা শাটল ট্রেনের লোকোমাস্টারকে অপহরণ করার পর ছেড়ে দেয়। এর আগে তারা ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দেয়।’
এ বিষয় হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জানান, ‘ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বারবার সংঘর্ষের কারণে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ ঘটনায় তারা অবরোধের ডাক দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি দেখবেন বলেছেন। তারপরও তারা অবরোধ করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। সংঘর্ষে একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।’ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।