চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণ মামলায় হাসেম আলি (৩২) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর আসামিকে পুলিশ প্রহরায় কোর্টহাজতে নেওয়া হয়েছে। দণ্ডিত হাসেম আলি দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে।
একই রায়ে বিচারক আরও উল্লেখ করেছেন, জন্ম নেওয়া শিশু কন্যাটির যতদিন বিয়ে না হবে ততদিন তার ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন রাষ্ট্র।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাতে দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বাগানপাড়ার এক যুবতীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই গ্রামের হাসেম আলি। এরপর ওই যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে সে বিচারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুরাতে থাকে। ওই যুবতী ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের হাসেম আলিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আদালত শিশু সন্তান ও হাসেম আলির ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টে হাসেম আলির সাথে যুবতীর সন্তানের মিল পায়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া হায়দার ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুসারে কন্যা সন্তানের বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্র তার সমস্ত খরচ বহন করবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক জানান, রায়ে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি সাক্ষীর মাধ্যমে। আসামির যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে।