মাওয়াতে আজ বসানো হচ্ছে পদ্মাসেতুর সেতুর দশম স্প্যান। এই স্প্যানটি সেতুর ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারে বসানো হবে। এর মধ্য দিয়ে পদ্মাসেতুর জাজিরা ও মাওয়া প্রান্ত মিলে পুরো সেতুর দেড় কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। দশম স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে সেটিকে ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সকাল থেকে সেটি বসানো শুরু করে দুপুরের মধ্যে শেষ হবে।
এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর এক হাজার ৩৫০ মিটারে বসেছে নয়টি স্প্যান। এগুলোর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২ নম্বর পিয়ারে আটটি ও মাওয়া প্রান্তে ৫ ও ৬ নম্বর পিলারে একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। তাই জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর এক হাজার ২০০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তে বাকি ১৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
মাওয়া প্রান্তে অস্থায়ী স্প্যানটি বসানো আছে (স্প্যান ১-এফ) ৪ ও ৫ নম্বর পিলারে। এটি আসলে বসানো হবে ৬ ও ৭ নম্বর পিলারে। তবে এখানে হবে দুটি। কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে জায়গা না থাকায় স্প্যানটি ৪ ও ৫ নম্বর পিলারে অস্থায়ীভাবে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
মূল সেতু নির্মাণে কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
পদ্মাসেতুর প্রথম স্প্যানটি ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর স্থাপন করা হয়, এর চার মাস পর ২০১৮ সালে ২৮ জানুয়ারির দ্বিতীয় এবং দেড় মাস পর, ১১ মার্চ তৃতীয় স্প্যানটি স্থাপন করা হয়।