ইউজিসি কর্তৃক বৈধ উপাচার্যে নিয়োগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থী অনশন ভেঙ্গেছেন।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাত ৯টা ১৮ মিনিটে অনশন ভাঙেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জুস খাইয়ে তাদের অনশন ভাঙান।
এর আগে সন্ধ্যার পরে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে আসেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক করম নেওয়াজ, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড. আমজাদ হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী বাবু, সহকারী রেজিস্ট্রার আবু মুহাম্মদ মুক্কামেল প্রমুখ।
অনশন ভাঙাতে এসে রেজিস্ট্রার বলেন, তোমাদের দাবি মতো ট্রাস্টি বোর্ডের সাথে আলোচনায় বসার ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তোমরা অনশন ভাঙো।
এ সময় উপস্থিত আরও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তাদের দাবিগুলো জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন এবং অতি দ্রুত সবকিছু সমাধানের জন্য আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে সাধারণ ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা শেখ রনি জানান, আমরা সাময়িকভাবে আমাদের অনশন কর্মসূচি স্থগিত করছি তবে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। আমরা প্রশাসনকে আমাদের ৬টি দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন আমাদের সাথে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বসার ব্যবস্থা করবে। ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় যদি আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি না পাই এবং তারা কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।
তিনি আরও জানান, অনশনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেরাজ রোজা রেখেছিলেন এবং ইফতারের সময়ও তিনি ইফতার করেননি বরং অনশন কর্মসূচি চালিয়ে গেছেন।
অনশনকারীদের দাবি প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ট্রাস্টি বোর্ডের সাথে তাদের আলোচনার ব্যবস্থা করা হবে এবং সেই আলোচনা সভায় দুজন ছাত্রী এবং ৪ জন ছাত্র মিলে মোট ৬ জনের অংশ করার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ট্রাস্টি বোর্ডের সাথে আলোচনায় বসার দাবিতে অনশন এ বসেন তারা।
এছাড়া, ইউজিসি কর্তৃক বৈধ উপাচার্যের নিয়োগের দাবিতে গত ৬ এপ্রিল থেকে আন্দোলন করে আসছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।