Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ রবিবার, মে ২০২৫ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্বের দীর্ঘ মানবকে দোকান দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:১৪ PM
আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:১৪ PM

bdmorning Image Preview


জীবিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত অনুদানে দোকান পেয়েছেন বিশ্বের দীর্ঘ মানব খ্যাত জিন্নাত আলী (২২)। তার বাড়ি কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের। জিন্নাতের নামে জমি বন্দোবস্ত দিয়ে তৈরি করা দোকানঘর মালামাল দিয়ে সাজিয়ে তা উদ্বোধন করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

মঙ্গলবার স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রামু উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মানবিক সহায়তাস্বরূপ গর্জনিয়া বাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে দোকানটি উদ্বোধন করা হয়।

জিন্নাত আলী উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের উত্তর বড়বিল গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা আমির হামজা পেশায় কৃষক। দরিদ্র পরিবার হওয়ায় জিন্নাত আলীর প্রতিদিনের খাবার এবং চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিল পরিবারটি।

জিন্নাত আলীর বাবা আমির হামজা জানান, ১২ বছর পর থেকে দিন দিন লম্বা হতে থাকা জিন্নাত আলী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছে। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে তার চাহিদা মতো খাওয়া-দাওয়া এবং চিকিৎসা খরচ বহন করা পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলো না। কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল সার্বিক সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে জিন্নাত আলীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী তাকে তাৎক্ষণিক পাঁচ লাখ টাকা প্রদানের পাশাপাশি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে নেয়ার আগে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জিন্নাত আলীকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করান। সেখানে বেশ কয়েক দিন চিকিৎসা পেয়ে একটু সুস্থ হলেই তাকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী জিন্নাত আলীর উপযোগী করে একটি বাড়ি করে দেয়ার আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর জেলা প্রশাসন জিন্নাত আলীর জন্য দোকানঘর ও বাড়ি করার উদ্যোগ নেয়। প্রথমে জমির নামজারি ও পরে দোকানের স্থাপনা তৈরি সম্পন্ন করা হয়। বাড়িটি নির্মাণাধীন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, জিন্নাত আলীর উচ্চতা ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি। কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়ার বাসিন্দা জিন্নাত আলীর দুর্বিষহ জীবন সম্পর্কে জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন তার জন্য জমি বন্দোবস্ত করে একটি দোকান, দোকান পরিচালনার জন্য আর্থিক সাহায্য ও তার চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার জন্য অনুদানের চেক প্রদান করেছে।

Bootstrap Image Preview